ইকোনোমিক ডেস্ক: উত্থাপিত হলো ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যার আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ টাকা হচ্ছে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় এবং ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এক নজরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট
করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সামনে রেখে এবারের বাজেটকে অনেকেই বলছেন সম্ভাবনাময় ও চ্যালেঞ্জিং। গতকাল উত্থাপিত বাজেটটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। কেননা, এটি বিগত অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। এছাড়া মূল বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে (৯ জুন) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এবারের বাজেটে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, এনবিআরবহির্ভূত কর ১৮ হাজার কোটি টাকা, করছাড় প্রাপ্তি ৪৩ হাজার কোটি টাকা ও বৈদেশিক অনুদান ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
বরাবরের মতো এবারও বাজেটকে ঘাটতি বাজেট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ আসবে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে আসবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
বাজেটে এডিপিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৯ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জন্য করা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর বরাদ্দ করা হয়েছিল ৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেটে কমল করপোরেট করহার, তবে…
বরাদ্দ বেড়েছে স্বাস্থ্য খাতেও
২০২২-২৩ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। গত অর্থবছর (২০২১-২২) এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা, যা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকায়।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রমসহ কোভিড-পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা প্রস্তাব করছি, যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা ছিল।’
কৃষিখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা
কৃষিক্ষেত্রে (কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) সার্বিক উন্নয়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৪ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা ছিল। বরাদ্দ বেড়েছে ৯ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণ সরকারের একটি অন্যতম লক্ষ্য। বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সরকারের মৎস্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং চাষি ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক ও লাগসই কারিগরি পরিষেবা দেয়ার ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৬ দশমিক ২১ লাখ টন, যা ২০০৯-১০ সালের মোট উৎপাদনের চেয়ে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
জিডিপি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সাময়িক হিসাবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে।
তবে গেল ১৩ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।
মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ
নতুন বছরের বাজেটে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করা। প্রতিনিয়তই নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমুখী। এমন অবস্থায় চাহিদা ও সরবরাহের অসঙ্গতি রোধে লাগাম টানাতে দৃঢ় সরকার।
এবিষয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বহিঃস্থ এবং কিছু অভ্যন্তরীণ কারণে সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে যেসব পণ্য
বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও দাম বাড়ছে বেশ কিছু পণ্যের। এর মধ্যে বেশির ভাগ পণ্যই আমদানি করা।
আমদানি করা পনির ও দই-এর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি পনির ও দইয়ের দাম বাড়তে পারে। আমদানি করা তৈরি পোশাকে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি পোশাকের দাম বাড়বে। দাম বেড়েছে বিলাসবহুল গাড়ির। রিকন্ডিশনড ও হাইব্রিড গাড়িতে ২ হাজার সিসি থেকে ৪ হাজার সিসিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
বাজেটে তামাকপণ্য সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সিগারেটের নিম্নস্তরের দশ শলাকার দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ও সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কমদামি সিগারেটের দাম বাড়বে।
সিগারেটের পাশাপাশি দাম বাড়বে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের। বাজেটে আমদানি করা ল্যাপটপের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও বাজেটে গুঁড়া দুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। দাম বাড়ছে বডি স্প্রে, প্রসাধনী পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্য ও কফির।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপরিশোধিত আলকাতরা, বিদেশি পাখি, প্রিন্টিং প্লেট, ক্যাশ রেজিস্টার, ফ্যান, মোটর, লাইটার, দুই স্ট্রোক ও ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের সিএনজি, কম্পিউটার প্রিন্টার ও টোনার, আমদানি করা মোবাইল চার্জার, কার্বন ডাই-অক্সাইড, আমদানি করা পেপার কাপ ও প্লেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
দাম কমার তালিকায় রয়েছে যেসব পণ্য
এবার বাজেটে সোনার দাম কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজেটে জুয়েলারি শিল্পের প্রসারে সোনা আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে কম দামে স্বর্ণালংকার পাওয়া যাবে।
দাম কমছে হুইলচেয়ার ও শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রের। শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। হুইলচেয়ারে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১০ শতাংশ অগ্রিম কর থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি দাম কমবে পানির ফিল্টার, বিমানের জন্য ব্যবহৃত টায়ার, কাজু-বাদাম ও পেস্তা বাদামের।
এছাড়া শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) ও নন-এসি রেস্তোরাঁয় ভ্যাট কমানোর, মুড়ি ও চিনির ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খাবার তৈরির উপকরণে করছাড়, হ্যান্ড টাওয়েল/পেপার টাওয়েল/ক্লিনিক্যাল বেডশিটের ভ্যাট কমানো প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এদিকে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বাল্কে (একত্রে বিপুল পরিমাণে) বিক্রির উদ্দেশে, বাল্কে কেনার ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ের ক্রয়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে সুতার ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব করা হয়।
থাকছে সর্বজনীন পেনশন সুবিধা
২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারিভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পেনশন প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি, সরকার আগামী অর্থবছর সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ভাতার আওতা বৃদ্ধি
নতুন বাজেটে ভাতার আওতায় আরও ২ লাখ ৯ হাজার নারী-শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা বলয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫৪ হাজার নারী ও শিশু ভাতার আওতাভুক্ত হবে। ২০২১-২২ অর্থবছরের উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৪৫ হাজার।
এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি কার্যক্রমে এবং দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচির আওতায় পল্লি ও শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, অ্যাসিড দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে শতকরা ৫০ ভাগ নারী এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুস্থ মহিলা ভাতা এবং পল্লি মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমে শতকরা ১০০ ভাগ নারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পাচারের টাকা বৈধকরণ
দেশ থেকে বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের বৈধতা দিতে বাজেটে প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কর দিয়ে এসব অর্থ বৈধ করা হলে আয়কর কিংবা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এর বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যে কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১০ শতাংশ ও বাংলাদেশে পাঠানো (রেমিটকৃত) নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করেন তিনি। এ সুবিধা ২০২২ সালের ১ জুলাই হতে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
সূত্র: গণমাধ্যম