বিগত সরকার ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে বিভিন্ন মেগা অবকাঠামো প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু তাতে ঢাকার যানজট সমস্যার সমাধান হয়নি, উল্টো ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলকে উৎসাহিতকারী এসব প্রকল্পের কারণে যানবাহনের গড় গতিবেগ আরও কমেছে। এ রকমই একটি প্রকল্প হলো সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প।
সাধারণত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার মূল উদ্দেশ্য থাকে শহরকে বাইপাস করা বা এড়িয়ে চলার ব্যবস্থা করা। এ জন্য শহরের ভেতরে গাড়ি ওঠানামার রাস্তা বা র্যাম্প কম রাখা হয়। শুরুতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রেও এ রকম পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো ঢাকা শহর বাইপাস করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াত করবে, ফলে ঢাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমবে। (আদিল মুহাম্মদ খান, ‘হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সংযোগ সড়ক বাতিলের দাবি’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫)
কিন্তু রাস্তাটি পিপিপি মডেলে বিদেশি বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে নির্মাণ করায় কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থে বেশি টোল আদায়ের উদ্দেশ্যে ঢাকার ভেতরে বিভিন্ন জায়াগায় অনেক বেশিসংখ্যক র্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। ফলে দূর থেকে দ্রুতগতিতে আগের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক গাড়ি র্যাম্পগুলোর মাধ্যমে নেমে রাস্তায় আগের চেয়ে বেশি যানজট তৈরি করছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ চালু করার পরপরই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
দেখা গেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় শতভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে এবং এসব গাড়ি দ্রুতগতিতে ঢাকার উত্তরাংশ থেকে ফার্মগেটে এসে নামার কারণে ফার্মগেট হয়ে গেছে ঢাকার যানজটের নতুন কেন্দ্র।
কিন্তু তারপরও এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বেশি বেশি র্যাম্প নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়নি। মগবাজার রেলক্রসিং থেকে সোনারগাঁও হোটেল, পান্থকুঞ্জ, হাতিরপুল, কাঁটাবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে পলাশী মোড় পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এরই মধ্যে হাতিরঝিলের একটা অংশ ভরাট করা হয়েছে এবং পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান ও হাতিরপুল এলাকার একমাত্র সবুজ উদ্যান পান্থকুঞ্জ পার্কের অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
প্রত্যাশা ছিল, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনা সরকারের আমলে পরিবেশ ও জনস্বার্থের ক্ষতি করে এমন নেওয়া বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের পুনর্মূল্যায়ন করবে, যার মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটিও থাকবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই সরকারের আমলে আগের মতোই পার্ক ও জলাভূমি ধ্বংস করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। শুধু তা–ই নয়, হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত আন্দোলনের ৫০ দিনের বেশি সময় পার হলেও এ বিষয়ে সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
অথচ ঢাকার গাছপালা-মাঠ-পার্ক-জলাভূমি রক্ষা করা যেকোনো বিবেচনাতেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং গাছপালা-মাঠ-পার্ক-জলাভূমি ধ্বংসের কারণে রাজধানী ঢাকায় তাপীয় দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে এক গবেষণার সূত্র ধরে প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যায়, ঢাকার উষ্ণতম স্থানের সঙ্গে শহরের বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশসমৃদ্ধ এলাকার সঙ্গে দিন-রাতের ভূপৃষ্ঠীয় তাপমাত্রার পার্থক্য যথাক্রমে ৭ ও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের সবুজ স্থান ও জলাভূমি সংকুচিত করে ২০০১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ঢাকার ভূপৃষ্ঠ এলাকা ২৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের গবেষণা অনুসারে, ঢাকা মহানগরে ২০ ভাগ সবুজ এলাকা থাকা প্রয়োজন। অথচ আছে সাড়ে ৮ ভাগের কম। (ঢাকায় কতটা সবুজ দরকার, কতটা আছে জানাল বুয়েট, প্রথম আলো, ২০ মার্চ ২০২৩)। এসব কারণে গ্রীষ্মকালে চারপাশে সবুজ এলাকার তুলনায় ঢাকার অধিবাসীদের গরমের অনুভূতি ও কষ্ট বেশি হয়।
রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি অভাব হলো, বুক ভরে নিশ্বাস নেওয়ার মতো এক চিলতে খোলা জায়গা, মাঠ, পার্ক ইত্যাদির। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষা অনুসারে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ কিংবা পার্ক নেই। ঢাকার আয়তন ও জনসংখ্যা বিবেচনায় পার্ক ও খেলার মাঠের জন্য যথাক্রমে ১ হাজার ১৩৭ একর এবং ১ হাজার ৮৭৬ একর এলাকা বরাদ্দ রাখা উচিত, অথচ পার্ক আছে মাত্র ২৭১ একর জায়গাজুড়ে এবং খেলার মাঠের জন্য রয়েছে কেবল ২৯৪ একর। (ঢাকার দুই সিটির ৩৭টি ওয়ার্ডে নেই কোনো খেলার মাঠ কিংবা পার্ক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বাংলা, ১৮ জুন ২০২১)
এ রকম একটা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান ও হাতিরপুল এলাকার একমাত্র সবুজ উদ্যান পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষা করা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোধগম্য না হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে, যখন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা গাছ, মাঠ,পার্কসহ পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার ছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় তাঁদের বক্তৃতা, বিবৃতি, লেখালেখির মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে পার্ক ও উন্মুক্ত মাঠে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন।
যেমন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ২০২২ সালের এপ্রিলে রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘একটা দেশের নগর–পরিকল্পনা কতটা বিধ্বস্ত হলে মাঠের জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হয়!
রিজওয়ানা হাসান ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার ধূপখোলা মাঠ, বাহাদুর শাহ পার্ক ও গুলশান সাহাবুদ্দীন পার্কসহ অন্যান্য পার্ক ও মাঠে নির্মিত কিংবা নির্মাণাধীন বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। সে সময় এক যৌথ বিবৃতিতে তৎকালীন সরকারকে ‘মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০–এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন।
এই আইন অনুসারে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেবা প্রদানকারী নগর প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের কাছে মুনাফা বা টাকা আয় করাই কি মুখ্য? মানুষের বসবাসের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করা কি একেবারেই গৌণ?
যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে, সেই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নের পক্ষে লেখালেখি করেছেন। আজ থেকে দুই বছর আগে গুলশানের সাহাবুদ্দিন পার্কে কফি শপ স্থাপনের বিরোধিতা করে তিনি কলম ধরেছিলেন। পার্কে কফি শপ স্থাপনের বিরুদ্ধে শ্লেষ করে তিনি লিখেছিলেন: ‘জনসাধারণের পার্কে সম্ভবত বিশ্বের প্রথম কফি শপ স্থাপনের গৌরব অর্জন করতে চলেছে গুলশানের সাহাবুদ্দীন পার্ক!’
জনসাধারণের পার্কে কফি শপ স্থাপনের বিরুদ্ধে তিনি দুটি যুক্তি দিয়েছিলেন। এক. এর ফলে পার্কের অংশবিশেষে সর্বসাধারণের প্রবেশ সীমিত হয়ে পড়বে। দুই. কফি শপটি পার্কের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই দুটি যুক্তিই কিন্তু পান্থকুঞ্জ পার্কে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণের বিরুদ্ধেও প্রযোজ্য।
বিষ্ময়ের ব্যাপার হলো, পরিবেশ বিষয়ে এ রকম সোচ্চার উপদেষ্টারা বর্তমান সরকারের দায়িত্বে থাকার পরও পরিবেশ ও পার্ক ধ্বংসকারী এই সংযোগ সড়ক নির্মাণ বন্ধ হচ্ছে না। উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় পরিবেশকর্মীদের চলা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ১১তম দিনে বলেছিলেন, ‘একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার থেকে পলাশী অংশ নির্মাণ বন্ধ সম্ভব নয়। এখন গাছ রেখেই কীভাবে উন্নয়ন কাজ করা যায়, তা আমরা চিন্তা করব। আপনারা বোঝার চেষ্টা করেন। এখানে যা হয়ে গেছে, তা মানতে হবে। আমি যা বলব, তা শুনবেন। না শুনলে আমি চলে যাব।
প্রশ্ন হলো, এর কারণ কী? এক্সপ্রেসওয়েতে বিনিয়োগকারী বিদেশি কোম্পানিগুলোর স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে বলেই কি সংযোগ সড়কটি নির্মাণ বন্ধ করা যাচ্ছে না? হতে পারে যে পান্থকুঞ্জ পার্কের মধ্যে পিলার তৈরি করা না গেলে এবং র্যাম্প নামানো না গেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গাড়ি তুলনামূলক কম চলবে। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলোর আয় কম হবে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী কোম্পানির স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে হলে যানজট বাড়িয়ে এবং পরিবেশ ধ্বংস করে হলেও র্যাম্প নির্মাণ করতে দিতে হবে? পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষা করতে হলে বিগত সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত অন্য অনেক গণবিরোধী চুক্তির মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চুক্তিও পুনর্মূল্যায়ন ও সংশোধন করার উদ্যোগ কেন নেওয়া হবে না?
চুক্তিটির অর্থনৈতিক দিক নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিয়েছে সরকার। জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন, বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইন সরানো ও পরামর্শকদের ব্যয়ও মিটিয়েছে সরকার। এ জন্য সাপোর্ট টু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নামে প্রকল্পটির খরচ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা।
সরকার তথা জনগণের জমিতে এই উড়ালসড়ক বানিয়ে কমপক্ষে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী কোম্পানি। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও মূল অবকাঠামোর নির্মাণ ব্যয়ের পুরোটা কোম্পানির নয়, ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ বিদেশি কোম্পানির, আর ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ)–এর নামে বাকি ২৭ শতাংশ, অর্থাৎ ২ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা খরচ সরকারের। অর্থাৎ জমির মূল্য বাদ রেখে শুধু জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো নির্মাণ বাবদ সরকারের খরচ ৭ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা আর বিদেশি কোম্পানির খরচ ৬ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। কিন্তু এখান থেকে যে টোল আদায় হবে, অন্তত সাড়ে ২১ বছর ধরে তার পুরোটাই নেবে বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলো। এ সময় সরকার ফি হিসেবে পাবে মাত্র ২৭২ কোটি টাকা!
কাজেই বর্তমানে যে মডেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে, তা অর্থনীতি ও পরিবেশ উভয় বিবেচনাতেই জনস্বার্থবিরোধী। এর সংশোধন প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিদেশি কোম্পানির স্বার্থের বদলে দেশের জনগণ ও প্রাণ–প্রকৃতির স্বার্থরক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। বিগত সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে পরিবেশের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছে। বর্তমান সরকার যে তাদের পথ অনুসরণ করছেন না–সেটা প্রমাণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত সরকারের আচরণ থেকে আশাবাদী হওয়া কঠিন।
এটা খুবই দুঃখজনক, যে কাজটি সরকারের নিজে থেকেই করা প্রয়োজন ছিল, সেই কাজটি করার দাবিতে গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীদের পান্থকুঞ্জ পার্কে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালনের পরও সরকারের টনক নড়ছে না। আশা করি, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।