সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আলোচিত উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে টাকার খেলার সঙ্গে কমিটি গঠনে পারিবারিক বলয় তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ওই ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে দলটির ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠিত হবে।
কমিটির গঠনের পুর্বেই দলে কাস্খিত পদ পেতে একদিকে যেমন শুরু হয়েছে টাকার খেলা, অপরদিকে দলটিকে পারিবারিক বলয় তৈরির অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে নানামুখী অভিযোগ তুলছেন দলটির খোদ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার রাতে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হয়েছেন সংসার পাড়ের লায়েছ মিয়া। তার বড়ছেলে তারা মিয়া ওই ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হয়েছেন। আরেক ছেলে রফিক মিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি। আরো এক ছেলে আকাশ মিয়া জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আরেক ছেলে চাঁন মিয়া সওদাগর ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সহ সভ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন।
উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তৃণমূলের বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা তিনটি শুল্ক স্টেশন রয়েছে। ওই স্টেশনগুলোতে আধিপতা বিস্তার, চোরাচালানের মত কর্মযজ্ঞ জায়েজ করতে গিয়ে পিতা থেকে শুরু করে একই পরিবারের চারজন বিএনপির সকল ধরণের পদ নিজেদের কব্জায় রাখতে চাইছেন। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনের বিভিন্ন ডিপোতে, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি, বাঁশতলা, লালঘাট পশ্চিম পাড়ায় কমপক্ষে ২ থেকে আড়াই লাখ মেট্রিকটন কয়লা মজুদ ছিল।
চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনে কয়েকবছর পুর্বের এলসিকৃত কয়লার ভুয়া চালানপত্র, মিনিপাস, সমিতির চালানপত্রকে ঢাল বানিয়ে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার, ট্যাকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অফিসার যখন যে ছিলেন, বিজিবির কিছু অসৎ সদস্যকে ম্যানেজ করে ওইসব চোরাচালানের কয়লা চাঁন মিয়া সহওদাগর, চোরাকারবারিদের সোর্স যুবলীগের হাবিবুর রহমান হাবি (মামলার আসামি) , সৈনিক লীগ নেতা দাবিদার আনোয়ার হোসেন (মামলার আসামি) তার সহোদর সোহাগ, নওমুসলিম দিপক (মামলার আসামি), ট্যাবলেট সোহেল, সফিকুল ইসলাম ভৈরব্যা (মামলার আসামি), ছিলা সাইফুল, আওয়াল চক্র প্রতি ট্রলার বোঝাই চোরাচালানের কয়লার সড়িয়ে নেয়ার বিপরীতে ৭০ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে নির্বিগ্নে সোর্স হিসাবে চাঁদাবাজি করেছে।
সোমবার উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি প্রার্থী চাঁন মিয়া স্বীকার করেন পিতাসহ পরিবারের অন্যরা বিএনপির পদে রয়েছেন, ছোট ভাই আকাশ এক সময় জামায়ত শিবিরের রাজনীতি করলেও এখন নীরব রয়েছে। তার দাবি বিএনপির গঠনতন্তে পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি পদ পেতে পারবেন না বা প্রার্থী হতে পারবেন না এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
অন্যান্য অভিযোগ গুলো মিথ্যাচার দাবি করে চাঁন মিয়া বলেন, আমি ও আমার পরিবার ক্লিন ইমেজ নিয়ে চলাফেরা করি।
তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক বললেন, একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি দলের বিভিন্ন কমিটিতে পদ পদবীধারী বা প্রার্থী হতে পারবেন কিনা সে বিষয়টি আপাতত আমার জানা নেই।