নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, একইসাথে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমাদের ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। সকল স্থানীয় একসাথে করাও সম্ভব নয়। তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে পাশ করা আইন পর্যালোচনা করতে নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে কমিশন সকাল ১১ টায় বৈঠকে এসব বলেন নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দেয়া হবে। একসাথে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০’ বাতিল করে ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ পাশ করে আওয়ামী লীগ সরকার। ওই আইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে নেয়া হয়।
এছাড়া সভার অন্য এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে, বিশেষ এলাকায় ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিশেষ তথ্য ফরম ব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনবল কাঠামো ও সরঞ্জাম হালনাগাদকরণের বিষয়।