কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘এআই অ্যান্ড আই’ নামের নতুন কর্মসূচি চালু করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি কর্মীদের ক্ষমতায়ন নতুন এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বলে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এআই অ্যান্ড আই কর্মসূচি গ্রামীণফোনের ‘এআই ফার্স্ট’ যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণফোনের অভ্যন্তরীণ কাজে এআইয়ের কার্যকর সমন্বয় ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গ্রাহকসেবা ও বিপণন—সব কার্যক্রমে এআই ব্যবহার শুরু করেছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী দ্রুত সেবা দেওয়া হচ্ছে।গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এআই অ্যান্ড আই অন্য সব কর্মসূচির মতো নয়, এটি একটি অভিযাত্রার সূচনা। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ শুধু এককভাবে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে না, বরং এআই ও ব্যক্তি মানুষের যুগপৎ কার্যক্রম এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক কর্মীর কাছে এআইয়ের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। ফলে গ্রাহকদের আরও বুদ্ধিদীপ্ত, সহানুভূতিশীল ও প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদানে সক্ষমতা বাড়বে আমাদের। এআই অ্যান্ড আইয়ের হাত ধরে গ্রাহকদের জন্য আরও স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করব আমরা।’প্রসঙ্গত, সিসকোর সহযোগিতায় এবং এনভিআইডিআইএ জিপিইউ প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘এআই ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে গ্রামীণফোন। ফলে উচ্চ গতির এআই মডেলের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি সব কর্মীর জন্য এআই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে গ্রামীণফোন।