বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও আশুলিয়ার গণহত্যার বিচার আগে করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংগঠিত গণহত্যার বিচার আগে হবে। অগ্রাধিকার রয়েছে রংপুরের আবু সাঈদ ও উত্তরার মুগ্ধ হত্যাকাণ্ডের বিচার। বিচারটি এমনভাবে করা হবে, যেন এ বিচার নিয়ে দেশে- বিদেশে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ না থাকে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিপ্লব করতে গিয়ে অনেকে শহিদ হয়েছেন, অনেকে নানা অঙ্গ হারিয়েছেন। তাই তাদের প্রতি জাতির একটা দায়বদ্ধতা আছে। বিচারটা দ্রুত করতে হলে তদন্ত সংস্থার কাছে, প্রসিকিউশনের কাছে তথ্যগুলো আসা খুবই জরুরি। আমাদের তদন্ত সংস্থাকে ওই অপরাধের তথ্য-উপাত্ত বের করতে হবে।
তিনি বলেন, বিচার হওয়া সত্ত্বেও গোটা বিশ্ব থেকে কেউ যেন বলতে না পারে যে বিচারটা আগের মতোই একটা অবৈধ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে। সেই কারণে এখন সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, যেন ট্রাইব্যুনালটা দ্রুত পুনর্গঠন হয়।
দ্রুততম সময়ে ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগের দাবি করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমের কার্যক্রম চলমান থাকলেও ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি না থাকায় বিচার কার্যক্রম থমকে আছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার গত ১৩ জুলাই অবসরে যান। অন্য এক সদস্য বিচারপতি হাইকোর্টে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে কোনো বিচারপতি নেই।