রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রস্তাব এনেছে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১৭তম দিনের আলোচনার শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। শোক প্রস্তাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও আহত ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পরে প্রস্তাবটি সই করার জন্য উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কাছে পাঠানো হয়।
আজকের আলোচনার শুরুতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে নিহত ব্যক্তিদের শান্তি ও আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা একটি গভীর শোকাবহ সময়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছি। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যেসব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিহত হয়েছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন, আমরা যেন তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা নিহত ও আহত ব্যক্তিদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।’
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, হাতে সময় খুবই কম। কয়েক দিনের মধ্যে যেন জুলাই সনদ সইয়ের কাজ শেষ করা যায়, সে জন্য দলগুলোর সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
আজকের আলোচ্য সূচির মধ্যে আছে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত প্রস্তাব, নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান–সম্পর্কিত বিষয়াবলি।
আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।