আসন্ন ঈদ ঘিরে নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর সব শপিং মলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মলগুলোর নিরাপত্তায় ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট। নিরাপত্তায় পুলিশের পেট্রোল টিম, টহল টিমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট মাঠে কাজ করছে। এ সময় যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি শপিংমল পরিদর্শন শেষে গুলশান-১ এ অবস্থিত পুলিশ প্লাজায় ঢাকা মহানগরে শপিংমলকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, গুলশান, বনানী, ডিএনসিসি-১, ডিএনসিসি-২ এর মধ্যে যেসব মার্কেট পড়ে সেসব মার্কেট আমি ঘুরে এসেছি। প্রতিটি মার্কেটে নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। ডিএমপি থেকে যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আমি ক্রেতা, দোকানদার এবং মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করেছেন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। জনগণের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং ডিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ডিবিপ্রধান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে যেন আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যেতে পারি, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর যেন আমরা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারি এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তাসহ ঢাকা মহানগরের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি জায়গায় আমাদের ফুট পেট্রোল রয়েছে, চেক পোস্ট রয়েছে, ডিবি পুলিশ রয়েছে, হোন্ডা পার্টি রয়েছে। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
কারওয়ান বাজার ও পতেঙ্গায় পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এই অবস্থায় পুলিশ নিরাপদবোধ করছে কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে আমরা নিরাপদ বোধ করছি।
ব্রিফিংয়ের আগে তিনি গুলশান পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের কয়েকটি ফ্লোরে ক্রেতা ও দোকান মালিকদের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলেন।