বাংলাদেশে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সরকার বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সোমবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথকভাবে বাণী দেবেন। এদিন সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কে জাতীয় পতাকা, রঙিন পতাকা এবং ‘কালিমা তায়্যিবা’ লিখিত ব্যানার প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে কিরাত, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং আরবিতে খুতবা লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্মরণিকা প্রকাশ ও সেমিনার আয়োজন করতেও নির্দেশনা রয়েছে।
১২ রবিউল আউয়াল থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ প্রান্তে পক্ষকালব্যাপী ইসলামিক বইমেলার আয়োজন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা ও জেদ্দা হজ অফিসসহ সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্ম, ইসলামের শান্তি, প্রগতি, সৌহার্দ্য, সহিষ্ণুতা, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার ও নারীর মর্যাদা বিষয়ক আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, হামদ-নাত এবং কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিও শিশুদের জন্য হামদ-নাত, রচনা প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা আয়োজন করবে।
এ ছাড়া দেশের সকল সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতাল, কারাগার, শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহেও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযথভাবে উদ্যাপিত হবে।