ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘ইসলামি দলগুলোর যেন একটি ভোটের বাক্স হয়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সেই কাজ অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে, ইনশা আল্লাহ।’
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন। সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ১৯৮৭ সালে দলটি প্রতিষ্ঠার পর হাতপাখা প্রতীকের কোনো প্রার্থী সংসদ সদস্য হতে পারেননি। কারণ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কারও স্বার্থে কখনো ব্যবহার হয়নি। তিনি বলেন, দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম। তাই আগামীতে ইসলামকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অনর্থক হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সংস্কার কমিশনকে তিনি পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানান।
জেলা শাখার সভাপতি এইচ এম মোমতাজুল করীমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মুফতি মোস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আবু বকর মো. আলী আজম।
সমাবেশে পার্শ্ববর্তী জেলা ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ ঘিরে দুপুর থেকেই শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে বেলা তিনটা থেকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে সমাবেশের মূল পর্ব শুরু হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। কর্মী-সমর্থকেরা বৃষ্টিতে ভিজেই নেতাদের বক্তব্য শোনেন।
অনুষ্ঠান শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ঝিনাইদহ-৩ ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর) আসনে প্রার্থী মাওলানা সরোয়ার হোসেন এবং ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনে মুফতি আবদুল জলিলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।