গাজা উপত্যকায় ৯ মাসের বেশি সময় ধরে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি বিমান ও বোমা হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই যুদ্ধ বন্ধে মিসর ও কাতারের সঙ্গে দূতিয়ালি করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসেই একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে সামনে সামনে এসব করলেও অসহায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে তলে তলে ঠিকই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বজায় রেখেছে তেল আবিবেব প্রধান মিত্র ওয়াশিংটন।
শনিবার (২৯ জুন) এক বিশেষ প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে। তার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অত্যন্ত বিধ্বংসী দুই হাজার পাউন্ড বোমা এবং হাজার হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে অন্তত ১৪ হাজার এমকে-৮৪ দুই হাজার পাউন্ড বোমা, সাড়ে ছয় হাজার ৫০০ পাউন্ড বোমা, ৩ হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, এক হাজার বাংকার বস্টার বোমা এবং আকাশ থেকে ফেলা যায় এমন ছোট আকারের ২ হাজার ৬০০ বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এসব অস্ত্র ঠিক কোন কোন সময় ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে, তা বলেননি কর্মকর্তারা। তবে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠানো হয়েছে তাতে বোঝা যায় ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ কমানোর দাবি বিশ্বজুড়ে উঠলেও তাতে তেমন কর্ণপাত করেনি আমেরিকা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঠিকই ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া অব্যাহত রেখেছে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ টম কারাকো বলেছেন, এই অস্ত্রের পরিমাণ বড় যুদ্ধ বাধলে আরও বাড়ানো যাবে। তবে এই তালিকার মাধ্যমে ইসরায়েলি মিত্রদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উঁচু স্তরে সমর্থনের বিষয়টি উঠে এসেছে।