মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দিলেও ইরান জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ড্রোন হামলা হয়েছিল। তবে এসব ড্রোনের অধিকাংশই ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি হামলায় ইসফাহানে অবস্থিত নাতাঞ্জ পরমাণু কর্মসূচি অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার বরাত বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারÑ করা এক পোস্টে জাতিসংঘের সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি বলেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। এ সময় ‘সবাইকে চরম সংযমে’ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
এর আগে ইরানের মহাকাশ সংস্থা দাবি করে, দেশে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। তবে ইসরায়েল থেকে আগত কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইরানের মধ্যাঞ্চলের শহর ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাওয়ার পর সংস্থাটির মুখপাত্র এই দাবি করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক সাইট সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি ইসফাহান পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্রের কাছে তার ঘড়ি পরীক্ষা করছেন। ক্যামেরাটি তখন চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন সৈন্যের ওপর জুম করে দেখায়।
এদিকে, সিরিয়া ও ইরাকের আকাশে বিস্ফোরণের কথা শোনা গেলেও ইসরায়েলি বাহিনী দেশ দুটিতে আঘাত হেনেছে কিনা, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি মার্কিন কর্মকর্তারা। ইরাক ও সিরিয়ার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।