নতুন করে ইরানের চালানো হামলায় ইসরায়েলের অন্তত চারটি জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতাল। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলজুড়ে ৬৫ জন আহত হয়েছেন। এই হামলাকে সংঘাত শুরুর পর ইরান থেকে সবচেয়ে বড় হামলা বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইরানের সাম্প্রতিক এই হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে তিনি বলেছেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে, ইরানের অত্যাচারীরা বিরশেবার সোরোকা হাসপাতালে এবং মধ্যাঞ্চলে সাধারণ মানুষের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আমরা তেহরানের অত্যাচারীদের থেকে এর পুরো মূল্য আদায় করব।”
এর আগে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ বলেন, “নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি শিশু, তাদের শয্যার পাশে একজন মা। বিছানার মধ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন একজন চিকিৎসক, একটি নার্সিং হোমে একজন বয়স্ক বাসিন্দা। সকালে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল এগুলো।”
এদিকে ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা টেলিগ্রামে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার “প্রধান লক্ষ্যবস্তু” ছিল “বৃহৎ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স (আইডিএফ C4I) সদর দপ্তর এবং গাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা শিবির”।
সংস্থাটি বলছে, এই সদর দপ্তর বের শেভার সোরোকা হাসপাতালের পাশে অবস্থিত। ইরনা দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে সৃষ্ট শকওয়েভ থেকে হাসপাতালটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে সামরিক অবকাঠামো সুনির্দিষ্ট এবং সরাসরি লক্ষ্যবস্তু ছিল।
সূত্র : আল জাজিরা