ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, আজনিউজ২৪: ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে নতুন করে আলোচনা বা কোনো দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। জারিফ বলেন, সৌদি আরবকে এই ছয় জাতির পরমাণু চুক্তিতে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এমন প্রস্তাবের পরই সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি।
ম্যাক্রোঁর মতে, তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির চুক্তিতে নতুন করে আলোচনায় সৌদিকে অবশ্যই রাখা উচিত।
ম্যাক্রোঁর এমন বক্তব্যে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেহরান। এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ রেজ্যুলেশন দ্বারা গৃহীত এবং এটি বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি। ওই চুক্তি বিস্তর আলোচনাতেই পাস হয়েছিল, যা এখন অপরিবর্তনীয় বলে সাফ জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খতিবজাদেহ।
ওবামার শাসনামলে পাস হওয়ায় ওই চুক্তিকে ভুয়া অ্যাখা দিয়ে ২০১৮ সালে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যান বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসেন ট্রাম্প প্রশাসন।
আরো পড়ুন: সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলায় নিহত ৬, কুর্দিদের দিকে আঙুল তুরস্কের
ট্রাম্পের জায়গায় এখন জো বাইডেনের প্রশাসন ক্ষমতায় আসায় চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুর উঠেছে। তেহরান যদি ওয়াশিংটনের শর্তাদি মেনে চলে তবেই চুক্তি আবারো ফিরবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দাবি মানা হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ইরান।
ইরানের পরমাণু ইস্যুতে নতুন করে আলোচনার খবরে সৌদি আরব ও তার মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো যে কোনও আলোচনায় তাদের রাখা উচিত।
তাদের পক্ষ নিয়ে আল-আরাবিয়া টেলিভিশনে ম্যাক্রোঁ বলেন, ২০১৫ সালের চুক্তি সমঝোতার সময় ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি ভুল পদক্ষেপ ছিল। বিশেষ করে সৌদি আরবকে না রাখার বিষয়টি জোর দিয়ে সামনে আনেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
তিনি আরো যোগ করেন, পারমাণবিক ইস্যুতে যদি নতুন করে আলোচনায় আসে, তবে সেটি খুবই কঠোর হবে।
ম্যাক্রোঁর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ফ্রান্স দিনের পর পার্সিয়ান উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে অস্ত্র বিক্রি করে যাচ্ছে। এতে এই অঞ্চলে রাজনৈতিক সংকট ও শান্তি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে প্যারিস যদি অনুতপ্ত হয় তবে তেহরান তাদের নীতিগুলো পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
তার মতে, শুধু ফরাসি নয় পশ্চিমা দেশগুলোর দেদার অস্ত্র বিক্রিতে হাজার ইয়েমেনি যেমন প্রাণ হারাচ্ছেন, তেমনই সেখানকার আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা মূল কারণও এটি। সূত্র: সময়টিভি