হেল্থ ডেস্ক, আজনিউজ২৪: চার চিকিৎসক ও দুই নার্স কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং সংশ্লিষ্ট ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
ইমপালস হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার ডাক্তার খাদিজা জুমা আজনিউজ২৪ অনলাইনকে বলেন, ‘চারজন চিকিৎসক ও নার্স আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর, আমরা গাইনি ও সার্জারি বিভাগ লকডাউন করে দিয়েছি। আর, এ দুই বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে ইমপালস হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডাক্তার দিলারা রহমান করোনায়ে আক্রান্ত হন। ডাক্তার দিলারা রহমান বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন চিকিৎসাধীন। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
ডাক্তার দিলারা রহমান বলেন, ‘আমাদের গাইনি বিভাগে একজন রোগীর কোভিড-১৯-এর নানা লক্ষণ দেখতে পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছিলাম। রোগীও চাচ্ছিল এ হাসপাতাল থেকে চলে যেতে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটি দেয়নি। এ অবস্থায় আমরা কাজ করেছি। গত ৮ এপ্রিল সর্বশেষ ডিউটি করার পর, গত ১০ এপ্রিল হাসপাতালে আসার কথা থাকলেও জ্বর, কাশি থাকায় আমি আসিনি। এর মধ্যে আমাদের বিভাগের ১২ জন ডাক্তার, পাঁচজন নাসসহ অনেকে নিজ উদ্যোগে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়েছি, সেখানেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। গত ১২ এপ্রিল আমার কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খবর শুনে ইমপালস হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত হয়েছি, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার কোনো খোঁজ খবর তো নেয়ইনি। এমনকি অ্যাডমিন থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, আমার স্বামীর কাছ থেকে আক্রান্ত হয়েছি, এ ধরনের মিথ্যা তথ্য দেয়। প্রকৃতপক্ষে আমি আক্রান্ত হওয়ার পর আমার স্বামীরও টেস্ট করানো হয়েছে। তিনি আক্রান্ত নন। আমার কোনো দায়িত্ব তারা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) নিতে রাজি নয় বলেই আমার সঙ্গে তারা এ ধরনের আচরণ করেছে।’
ঢাকার এ হাসপাতালটি থেকে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন নারী চিকিৎসকের দায়িত্ব না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, ইমপালস হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার ডাক্তার খাদিজা জুমা বলেন, ‘বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছিল।’