ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে অবস্থিত নবী হজরত ইউসুফ (আঃ) এর কবর জিয়ারতের জন্য অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল একদল ইসরায়েলি। এ সময় স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা তাদের বাধা দেয়। এতে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি আহত হন।
শুক্রবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে জড়িত ইসরায়েলিরা মূলত শুভু বনিম নামক একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্য, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যৌন অপরাধে দণ্ডিত রাবি এলিয়েজার বারল্যান্ড। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইসরায়েলিদের উদ্ধার করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ।
তবে, ইসরায়েলের আরেক সংবাদমাধ্যম হায়োম বলছে, সংঘর্ষের পর ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের পুলিশই প্রথমে ওই ইসরায়েলিদের উদ্ধার করে এবং পরে তাদের আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করে।
ইসরায়েলি আরেক সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষের খবর জানার পর ইসরায়েলিদের আরও কয়েকটি দল নাবলুসে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে শহরের প্রবেশপথেই তাদের আটকে দেয় আইডিএফ।
জানা গেছে, হজরত ইউসুফ (আঃ) এর কবরের কাছাকাছি এলাকায় অনুপ্রবেশকারী ইসরায়েলিদের পথরোধ করেন ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা। এক পর্যায়ে তারা একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে কয়েকজন ইসরায়েলি আহত হন।
পরবর্তীতে সব ইসরায়েলিকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
উল্লেখ্য, মুসলমান ও ইহুদি উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই হজরত ইউসুফ (আ.) সম্মানীয় নবী। তার সমাধি ঘিরে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদিও নাবলুসের সেই সমাধিকে অনেক মুসলমান ইউসুফ (আ.) -এর মনে করেন না। তাদের দাবি, হজরত ইউসুফ নয়, এখানে ১৮ শতকের মুসলিম পণ্ডিত শেষ ইউসুফ দাওইকতকে সমাহিত করা হয়েছে।