ইকোনোমিক ডেস্ক: ব্যাংকিং আওয়ার শেষে এক বড় গ্রাহককে চেকের বিপরীতে টাকা ছাড়ে তাৎক্ষণিক সমন্বয় না করায় ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের হিসাবে গরমিল হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংকটির গুলশান শাখার তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইউনিয়ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ইকবাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি দাবি করেন, ব্যাংকিং সময়ের পর এক গ্রাহককে চেকের বিপরীতে ওই টাকা দেয়া হয়। তবে তা সঙ্গে সঙ্গে হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পরদিন সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দলের সদস্যরা শাখা পরিদর্শনে গেলে ১৯ কোটি টাকার গরমিল পান। পরে তাদের সামনেই তা সমন্বয় করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন হাসান ইকবাল।
গণমাধ্যমের খবর, কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে ছিল ১২ কোটি। বাকি ১৯ কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়।
প্রতিদিন লেনদেন শেষ ও শুরুতে ভল্টের টাকার হিসাব রাখেন সংশ্লিষ্ট শাখার ব্যবস্থাপক, সেকেন্ড অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ।এক্ষেত্রে সামান্য গরমিল হতে পারে। তবে বড় অঙ্কের টাকা হলে তা ফৌজদারি অপরাধ।
এ আইন অনুযায়ী, তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার তৎপরতা চলে। অথচ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত দলের সদস্যরা শাখা পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর