যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১২ ফেব্রুয়ারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পল মার্টিনকে গতকালই বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের বিষয়টি তাকে ই–মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়।
ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শকের দপ্তর থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পরই পল মার্টিনকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ ইউএসএআইডির সক্ষমতাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ফলে সংস্থাটি প্রায় ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অব্যয়িত সহায়তার সঠিক তদারকি করতে পারছে না।
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় বসেই তিনি ইউএসএআইডির ওপর খড়্গহস্ত হন। তিনি সংস্থাটি ভেঙে দিতে চান।
যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএআইডির মাধ্যমেই মূলত বিদেশে তার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংস্থাটির কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই বিভিন্ন দেশে কাজ করেন।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা হলো, ইউএসএআইডির এই বিপুলসংখ্যক কর্মীর মধ্যে অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত মাত্র ৬১১ জনকে চাকরিতে বহাল রাখা হবে। আর ২ হাজার ২০০ কর্মীকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানো হবে।
ট্রাম্প মনে করেন, ইউএসএআইডি দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে। যদিও ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন ওয়াশিংটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালত।
ইউএসএআইডিতে কাটছাঁট পদক্ষেপের একটা বড় অংশ তদারক করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা এই ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্রকে সংকুচিত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।