বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাটের কারণে আস্থাহীনতায় ভুগতে থাকা ব্যাংকিং সেক্টর আবারও আস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। জানুয়ারি মাসে ব্যাংকিং খাতে আমানত গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
জানুয়ারি মাস শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। গতবছর একই সময় (জানুয়ারি) এই আমানতের পরিমাণ ছিলো ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে: চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন: ব্যাংক আমানতে ১০ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক, এটা থাকা উচিত। কিন্তু বিগত সরকারের সময়ে ডলার সঙ্কট, রিজার্ভের পতন ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণে অর্থনীতিতে একটা সঙ্কট দেখা দিয়েছিলো। যদিও সরকার পতনের মাস আগস্টে ব্যাংক আমানতে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিলো। এরপর থেকে আমানত সংগ্রহে কিছুটা ধীরগতি ছিলো।
তবে এখন আবারও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরছে ব্যাংকগুলোর আমানত সংগ্রহ। এটাকে ইতিবাচক বলছেন ব্যাংকাররা।