অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। আদালতে মামলা করেছিলাম। এখন সে মামলায় কোনো আসামিদের ধরছে না পুলিশ। উল্টা আসামিদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে পুলিশ। আসামিরাও প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে বাড়িতে যেতে পারছি না।
গতকাল বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন সিরাজদীখান প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি মুক্তার হোসেন। তিনি উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালি এলাকার বাসিন্দা।
সাংবাদিক মুক্তার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের সুযোগকে কাজে লাগায় চক্রটি। তারা ৬ আগস্ট আমার বাড়িতে অর্ধশতাধিক মানুষ নিয়ে হামলা চালায়। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ঘরের মধ্যে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা, স্বর্ণ, দামি ফার্নিচারসহ অন্তত ৭০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে ১ সেপ্টেম্বর ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আর ৩০-৪০ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান আমলি আদালত-২ এ অভিযোগ দিই। সেদিনই আদালত পিটিশনটি মামলা হিসেবে থানাকে রেকর্ডের নির্দেশ দেয়। মামলাটি থানায় নথিভুক্ত করা হলেও পুলিশ অজানা কারণে একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করছে না। আমি ঊধ্বর্তন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পরিবারের নিরাপত্তা, আসামিদের গ্রেপ্তার, বিচার এবং তাদের শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, বাদীকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেÑ এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। আসামিদেন গ্রেপ্তার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্পূর্ণ তদন্তকারী কর্মকর্তার। তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো কারণে আসামি গ্রেপ্তার না করলে, সে ক্ষেত্রে আপনাদের করণীয় কী জানতে চাইলে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, এটি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানেন।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদীখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান বলেন, আমি একটি তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত আছি। ওসির সঙ্গে কথা বলেন।
আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে : পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক নেতার সংবাদ সম্মেলন
সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
দেশজুড়ে
6,572 Views