আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্যের জবাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘জীবনে আমি এমন অনেক ঘুঘু দেখেছি। আল্লাহ আমাকে বহু ঘুঘু দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনো ঘুঘুর ফাঁদে পা দিইনি।’ বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আমাদের মেহমান, তাঁদের অনেক কথাই আমাদের ধরতে নেই।’
আজ সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দরে মদনপুর এলাকায় গণসংযোগকালে তৈমুর আলম খন্দকার এ কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। ভোটারদের কাছে তিনি ভোট প্রার্থনা ও লিফলেট বিতরণ করেন।
গতকাল রোববার সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় তৈমুর আলম খন্দকারের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘তৈমুর সাহেব ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। টের পাবেন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। যে আশায় রয়েছেন, সেই আশার গুড়ে বালি।’
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘ওসমান পরিবার আইভীর পক্ষে না, এটা তো আমরা বলি নাই। প্রার্থী নিজেই বলেছেন। এটা ওসমান পরিবার, আইভী ও সরকারের ব্যাপার, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার। এখানে আমার বক্তব্যের কিছু নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলে কোনো বিভাজন নেই। তাঁর (আইভী) দলে অনেক বড় ফাটল। তাঁরা তাঁদের দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।’ তিনি বলেন, শামীম ওসমান, তাঁর ভাইয়েরা এমপি, তাঁর বাবা এমপি, দাদা এমপি ছিলেন। তাঁদের একটা নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকতেই পারে। তবে তাঁরা আইভীর পক্ষে না, এটা তো পরিষ্কার করে দিয়েছেন সরকারি দলের প্রার্থী নিজেই। এখানে তো আমার কিছুই করার নাই।’
উৎসমুখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছিল উল্লেখ করে তৈমুর আলম বলেন, ‘অমার সমর্থক সরকারি দল করে, নৌকার পক্ষে নামে নাই তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। বলে আসছে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করতে হবে, কাজ করতে হবে। তাঁদের ওপর নানা চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে সরকারি হস্তক্ষেপ করা ঠিক হচ্ছে না। আমি চাই, জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটুক। জনগণের রায়ের প্রতিফলন না ঘটলে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয় প্রার্থীকে পাস করানোর জন্য এসব বাড়াবাড়ি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, তিনি দলীয় সমর্থক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, তাঁদের ওপর অনেক অত্যাচার–নির্যাতন আসবে। এই প্রতিরোধ করেই সিটি করপোরেশনের পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
তৈমুর আলম বলেন, কে গডফাদার কে গডফাদার না, কে গডমাদার, আর কে গডমাদার না, কে বিজয়ী প্রার্থী, কে বিজয়ী না—এগুলো সব প্রধানমন্ত্রী জানেন।