প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এখন অতীতের যেকোন সময়ের চাইতে বেশি শক্তিশালী, সৃজনশীল।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের নতুন স্বপ্ন অতীতের যেকোন স্বপ্নের চাইতে দুঃসাহসী। আমাদের তরুণরা নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। এর জন্য তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন এক বাংলাদেশ নির্মাণের। আজ এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দেশমাতৃকার জন্য বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রাম, বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যে সকল সাহসী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের সকলকে।
উল্লেখ্য, এবার যারা পদক পেয়েছেন তারা হলেন, চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান মরনোত্তর, সঙ্গীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরনোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহ (মরনোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান, রিফাত নবী, মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম ও শাবাব মুস্তাফা।
সমাজ সেবায় পদক পাচ্ছেন মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরনোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরনোত্তর) ও শহীদুল জহির (মরনোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।