স্পোটর্স ডেস্ক: আবারও মাঠে গড়াচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। পুণরায় ফিরছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই। সাও পাওলো কাণ্ডের পর আবারও ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
দুই দলই খেলবে নিজ দেশে। এবারের ফিফা উইন্ডোতে আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে চলেছে হোম ভেন্যুতে। বুয়েন্স আয়ার্সের ঐতিহাসিক মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে লড়াই। আর এক ঘন্টা পর ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু। এর আগে উরুগুয়ে-ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে-ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া-চিলি লড়াই।
বুয়েন্স আয়ার্সের মন ভালো নেই। আকাশ থেকে ঝড়ছে বৃষ্টি। তাই ইনডোরে বন্দি আর্জেন্টিনা দল। বলিভিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে শেষ অনুশীলনে মাঠের দেখা পায়নি আলবিসেলেস্তেরা।
তার উপর মানসিক আর নানা চাপের ধকল সঙ্গী লিওনেল মেসির দলের। সবশেষ ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার রেশ এখনো কাটেনি। তার উপর সেরা ফুটবলারদের অনেকেই পাচ্ছেন না কোচ লিওনেল স্কালোনি। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরা ও মিডফিল্ডার জিওভান্নি লো সেলসো ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছেন।
ফুটবলার নিয়ে এমন সমস্যায় বিরক্ত তিনি। ম্যাচের আগে এর সমাধান খোঁজার দাবি জানিয়ে লিওনেল স্কোলানি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি কখনো হতে পারে না। কেউ ফুটবলার পাবে, কেউ ফুটবলার পাবে না। তা হবে না। বলিভিয়া ম্যাচের পর আমরা আলোচনায় বসবো। কথা বলবো কোচদের সাথে, ফেডারেশনের সাথে। এর একটা সমাধান হতে হবে।’
আর্জেন্টিনা এই ম্যাচেই প্রথম টের পাচ্ছে ফুটবলার সঙ্কট। ব্রাজিল আগে থেকেই যাতে ভুগছে। সাত ফুটবলারকে পায়নি এবারের ফিফা উইন্ডোতে। জাতীয় দলের জন্য না ছাড়ায় ক্লাবকে শাস্তি দিয়েছে ফিফা। এই ফুটবলারদের এক ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থাটি।
তাতে তিতের অবশ্য কোনো লাভ হচ্ছে না। তবে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের একাদশ নিয়ে কোন শঙ্কা নেই। পণ্ড আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের দলটাই অপরিবর্তিত থাকছে। যে ম্যাচটা শেষ না হওয়ায় আলোচনার শেষ নেই। দুই কোচকেই নতুন ম্যাচের আগে পুরনোকে নিয়ে কথা বলতে হলো।
সুপার ক্ল্যাসিকো কাণ্ড নিয়ে তিতে বলেন, ‘নিরপেক্ষ রায় হবে আইন মেনে সিদ্ধান্ত দেয়া। আমার কাছে প্রথম কথা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। খেলা গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেটা স্বাস্থ্যের চেয়ে কখনোই নয়। আমি অবশ্যই খেলা হোক চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা মানুষের জীবনের মূল্যের চেয়ে বেশি নয়।’
আর্জেন্টাইন কোচ আক্ষেপে পুড়ছেন ম্যাচ না খেলাতে। তিনি বলেন, ‘আমার মনের অবস্থা বিশ্বের সব ফুটবলপ্রেমীদের মতই। সবাই একটা ভালো খেলা দেখতে চেয়েছিল, বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের পারফরম্যান্স। কিন্তু সেই সুযোগটা আমরা পাইনি। এটা অদ্ভূত, কুৎসিত অনুভূতি। কেননা আমরা ফুটবল খেলতে পারিনি।’
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে এখনো অপরাজিত ব্রাজিল। আর তাদের ঠিক পেছনেই আছে আর্জেন্টিনা।