টসের সময় অস্ট্রেলিয়ার ভাবনায় ৪০০ রানের বেশিই থাকার কথা। সাধারণত, টেস্টের প্রথম দিনে প্রথমে ব্যাট করা দলের লক্ষ্য এমনই থাকে। তবে গতকাল শুরু গ্রেনাডা টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে তিন শর কমে অলআউট হয়েও অখুশি হওয়ার কথা নয়। এক সময় দেড় শ রানের আশপাশে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও যে পেয়ে বসেছিল প্যাট কামিন্সদের।
বার্বাডোজে জিতে সিরিজে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৮৬ রানে। ১১০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটি তিন শর কাছাকাছি যেতে পেরেছে বো ওয়েবস্টার ও অ্যালেক্স ক্যারির ১১২ রানের জুটির সৌজন্যে।
অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭ ওভারের মধ্যে অলআউট করে দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজও স্বস্তি নিয়েই স্টেডিয়াম ছেড়েছে। দিনের শেষ দিকে ব্যাটিং করার কথা ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু দুই ওপেনার মাঠে নামলেও আম্পায়াররা যথেষ্ট পরিমাণ আলো না থাকায় দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে শেষ বিকেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দলটি। বার্বাডোজের মতো ভয়ংকর না হলেও গ্রেনাডার উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তা ছিল। প্যাট কামিন্স যেভাবে আলজারি জোসেফের নিচু হয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন, তাতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উইকেট আরও খারাপ হওয়ারই ইঙ্গিত। ফলে অস্ট্রেলিয়ার ২৮৬ রান আসলে কত বড় সংগ্রহ, সেটা হয়তো আজই বোঝা যাবে।
এই রানটা তোলার কৃতিত্ব পুরোটাই ওয়েবস্টার ও ক্যারির। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৩ রান করা ওয়েবস্টার এবার করেছেন ৬০ রান। ক্যারি করেছেন ৬৩, যার ব্যাট থেকে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছিল ৬৫। অস্ট্রেলিয়ার রানটা আরও বড় হতে পারত। একটা পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ২২২। শেষ ৬৪ রানে দলটি হারিয়েছে ৫ উইকেট, আলজারি জোসেফ নিয়েছেন ৪ উইকেট।
দিন শেষে কঠিন উইকেটে সংগ্রহটা মোটামুটি ভালো হলেও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা অস্ট্রেলিয়ার চিন্তার কারণ। ওপেনারদের ৪৭ রানের জুটিতে স্যাম কনস্টাস করেছেন ২৫ রান আর উসমান খাজা ১৬। অস্ট্রেলিয়ার নতুন নম্বর তিন ক্যামেরন গ্রিনের সর্বশেষ ৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৫। কাল এক রান বেশি করেছেন। চোট থেকে ফেরা স্টিভ স্মিথ আউট হয়েছেন ৩ রানে।