ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালেবানের হামলার ভয়ে ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছে স্যোশাল মিডিয়া। বিবিসি’র খবরে বলায়, গত মাসে দেশটি দখলে নেয় তালেবান। কিন্তু আফগানিস্তানের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী তালেবানকে মেনে নিতে পারেনি। যারা মূলত বিরোধী দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
১৫ আগস্টের পর থেকে অনেকেই স্যোশাল মিডিয়া থেকে তাদের অতীতের ছবি এবং বিভিন্ন ধরনের পোস্ট মুছে দিচ্ছে। এছাড়া কেউ স্থায়ীভাবে তাদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিচ্ছে। বলা যেতে পারে তালেবানের হামলার ভয়ে স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করা থেকে তারা এক প্রকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
যদিও আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর তালেবান সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়। যাদের মধ্যে ছিল সরকারি বাহনী এবং যারা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তবে বিরোধীরা তালেবানের এমন আশ্বাসে বিশ্বাসী নয়। তারা বিবিসিকে জানায়, তালেবান সাধারণ ক্ষমার যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।
তালেবান নেতার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে তাদের আচরণে। রাজধানী কাবুল দখলের পর বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী পাওয়া খবরে জানা যায়, তারা দেশটির বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।
গত সপ্তাহে তালেবানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মাদ ইয়াকুব এক অডিও বার্তায় স্বীকার করেন, অনেক বেসামরিক লোক তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে তাদের দমাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর বেশি কিছু তিনি বলেননি।
এদিকে আফগানিস্তানে ফেসবুক তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। যেখানে প্রোফাইল লক করে রাখা যাবে। এবং চাইলে যে কোনো কনটেন্টই ডিলিট করে দেওয়া যাবে।
বিবিসি দুজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন, যাদের একজন কাবুলের এবং একজন আফগানিস্তানের বড় শহরের। যাদের স্যোসাল মিডিয়ায় মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। এবং তাদেরকে তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে প্রভাবশালী মনে করা হত।
তালেবানের হামলার ভয়ে এ দুজনই তাদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন।