ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে একটি শিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। ৯০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বিবি ফাতিমা মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদটি ইমাম বারগাহ মসজিদ নামেও পরিচিত।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে মসজিদের জানালার কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে, মেঝেতে মানুষজন পড়ে আছে এবং অন্যান্য মুসল্লিরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এটিকে আত্মঘাতী হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তালেবানের স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তারা তিনজন আক্রমণকারীকে দেখেছেন, তাদের একজন মসজিদের প্রধান গেটের কাছে এবং বাকি দুজন মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, যে মসজিদের প্রধান ফটকের কাছে তিনি তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মানুষে পূর্ণ ছিল। এর পরপরই সেখানে ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তালেবানের বিশেষ সৈন্যরা মসজিদটিকে ঘিরে রেখেছে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য সবাইকে রক্ত দিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
তালেবান ১৩ আগস্ট আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার দখল করে নেয়।
হামলার দায়িত্ব এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানে বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কিরমানি টুইট করেছেন- ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় একটি গ্রুপ আইএস-কে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করতে পারে।
গত শুক্রবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে শুক্রবারের নামাজের সময় আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল যাতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়।
পরে আইএস-কে দাবি করেছে যে তারা ওই হামলা চলিয়েছে। আফগানিস্তানে যতগুলো জিহাদি গ্রুপ তৎপর রয়েছে তার মধ্যে আইএস অন্যতম। তারা আফগানিস্তানে তালেবান শাসনেরও বিরোধিতা করছে।
আগস্টের শেষে মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। খবর: বিবিসি