ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ঘরহারা মানুষের সংখ্যা। দীর্ঘ যুদ্ধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতায়, অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতিতে থমকে আছে দেশটির অনেক খাত। তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর, পরিস্থিতি আরো নাজুক হচ্ছে। জাতিসংঘের শঙ্কা, এ বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে দারিদ্রের হার নামতে পারে ৯৭ শতাংশে।
যুদ্ধ আর সংঘাতে এক অনিশ্চিত জীবনের মুখে আফগানরা। সোভিয়েত আর যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের মুখে খুব একটা বদলায়নি জীবনমান। কট্টরপন্থী তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আরও অনিশ্চয়তার মুখে এসব মানুষ। উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার।
সহায় সম্বলহীন দিন কাটছে হাজারো আফগানের। অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুর সংখ্যা এতো বেশি যে ঠাই হচ্ছে না ক্যাম্পগুলোতে। দুই দশকের মার্কিন দখলদারিত্বে জীবনমানের কিছুটা উন্নয়ন হলেও অবনতি হয়েছে দেশটির অর্থনীতি আর নিরাপত্তার।
জাতিসংঘ বলছে, তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর পশ্চিমা সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে আফগানিস্তানে। বর্তমানে দেশটির প্রায় ২ কোটি মানুষ আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অর্থের জন্য মরিয়া আফগানরা নিজ ঘরের হাড়ি-পাতিল এবং ঘরের আসবাবপত্রও বিক্রি করছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ে সহকারী সহাসচিব মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, মানবিক সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ এবং দাতাসংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আফগানিস্তানকে ১শ ২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশ। দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে অর্ধেকের বেশি মানুষ। অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতিতে থমকে আছে অনেক খাত। তালেবানের ক্ষমতা গ্রহন পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করেছে।
জাতিসংঘের শঙ্কা, এ বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে দারিদ্রের হার নামতে পারে ৯৭ শতাংশে। এমন অবস্থায় ক্ষমতার ভাগাভাগি ছেড়ে তালেবানকে অর্থনীতি পুর্নগঠনে মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।