ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন সব জায়গায় মেয়েদের স্কুলে ফেরা বন্ধ করে দিলেও মাত্র একটি প্রদেশের মেয়ে শিক্ষার্থীরা ঠিকই স্কুলে ফিরেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই হেরাত প্রদেশের মেয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ক্লাস করছে।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা স্থানীয় তালেবান প্রশাসনকে বোঝাতে সক্ষম হওয়ার পরই সেখানে স্কুল খুলেছে।
তালেবান কর্মকর্তারা মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল পুনরায় খুলে দেয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি। আবার শিক্ষক এবং অভিভাবকরা মিলে যখন অক্টোবরের শুরুকে স্কুল খুলে দেয়, তখন তাতে বাধাও দেয়নি তারা।
হেরাত টিচার্স ইউনিয়নের প্রধান মোহাম্মদ সাবের মেশাল বলেন, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মিলে এ কাজ করেছে। স্কুল খুলে দেয়ার প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছে এই সংগঠনটি। কেবল আমাদের এখানেই কমিউনিটির অধিকারকর্মী এবং শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়ে থেকে গেছেন এবং তালেবানের সঙ্গে কথা বলেছেন।
হেরাতের এমন সাফল্যই বলে দিচ্ছে, ১৯৯০-র দশকের তালেবান নেতৃত্ব আর বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। তখন নিজেদের মতাদর্শ থেকে এক চুলও নড়ে আসেনি তারা। নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। নিষিদ্ধ ছিল নারী শিক্ষাসহ আরও অনেক কিছু। সাজাও কঠোর ছিল তালেবানদের।
কিন্তু এ দফায় ক্ষমতায় এসে তালেবানরা বুঝতে পেরেছে গত ২০ বছরে আফগানিস্তানের নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে। আগের মতো কঠোর হস্তে শাসন করা যাবে না এটা বুঝতে পেরেছে তালেবান।
তালেবানরা আগের নিয়মনীতি আরোপ করলেও সেগুলো বাস্তবায়ন করবে না কি করবে না, তা নিয়ে তাদের মধ্যে দোটানা রয়েছে। আর এই দ্বিধার কারণ হতে পারে, ভঙ্গুর অর্থনীতি ও ইসলামিক স্টেট মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার ঝুঁকি।