ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের কাবুলে এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহত আর নিখোঁজদের এখনো খুঁজে ফিরছেন অনেক স্বজন। মার্কিন নাগরিক ও সেনাদের ফেরাতে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে যুক্তরাষ্ট্রের।
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর গত দুই সপ্তাহে আফগানিস্তান ছেড়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন লাখো আফগান।
এক আফগান বলেন, ‘কাবুল বিমানবন্দরে কাছের অনেক মানুষকে রেখে এসেছি। বোমা হামলার পরে কার কী অবস্থা জানা নেই।’
বোমার হামলার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে কাবুল বিমানবন্দর। হতাহত অনেকে স্বজনের দেখা মিলছে না।
এক স্বজন বলেন, ‘বোমা হামলার দিন আমার নাতি বিমানবন্দরেই ছিলো। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও এখনও দেখার সুযোগ মেলেনি।’
পাকিস্তানে যাওয়া এক আফগান বলেন, ‘বিমানবন্দরে লোকজনকে সরাতে নিরাপত্তাবাহিনী অনেকের পায়ে গুলি করছিলো। তখন কোনোমতে প্রাণে বেঁচে এসেছি। আফগানিস্তানে সব আত্মীয়-স্বজন ফেলে এসেছি। এমন এক দেশে যাচ্ছি যেখানে কোনো বন্ধু-স্বজন নেই।’
এরই মধ্যে এভাকুয়েশন ফ্লাইট সমাপ্তি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য, স্পেন, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
যদিও হামলার আশঙ্কায় বিমানবন্দর ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে ১ হাজারের বেশি সেনা সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি নাগরিকদেরও নিরাপদ অবস্থানে থাকার পরামর্শও দিচ্ছে দূতাবাসগুলো।
আফগান শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন স্প্যানিশ রাজা ও প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্স সহ বেশ কয়েকটি দেশে তালেবান বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, দুই সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যমে তালেবানের ফলোয়ার বেড়েছে ২৫ ভাগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষজ্ঞ জিম এন্ডারসন বলেন, ‘জনমানুষের সাথে নিজেদের সখ্যতা তুলে ধরতে ফেসবুক-টুইটারই সবচেয়ে বেশি সহায়ক। এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মূলত আন্তর্জাতিক দর্শক শ্রোতাদের নজর কাড়ছে তালেবান।’