প্রায় ৫০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাহাজ দেশটির কেপ কড উপদ্বীপের কাছে থাকা আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে খনিজ ও হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের সময় বিস্ময়করভাবে সমুদ্রের লোনা পানির গভীর স্তরে সুপেয় পানির সন্ধান পেয়েছিল। সেই অপ্রত্যাশিত আবিষ্কারের সূত্র ধরে নতুন করে গবেষণা অভিযান শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। এক্সপেডিশন ৫০১ নামের এই অভিযানে কেপ কডের কাছে থাকা আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ড্রিল করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, অতীতে কোনো এক সময়ে বরফে আবৃত বিশাল এক ভূমিখণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের কেপ কড উপদ্বীপের কাছে থাকা আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। এর ফলে মহাসাগরের নিচে একটি বিশাল গোপন জলাধার তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, গোপন জলাধারটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি থেকে মেইন অঙ্গরাজ্য পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এ বিষয়ে অভিযানে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী ব্র্যান্ডন ডুগান বলেন, ভবিষ্যতে এই বিশাল ভান্ডার সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে পারে। এমন একটি জায়গায় সুপেয় পানি খোঁজা হচ্ছে, যেখানে কেউ সাধারণত পানি খোঁজার কথা ভাবে না।
বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার লিটারের বেশি পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে পানির উৎসের রহস্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলাধারটি নিউইয়র্ক শহরের ৮০০ বছরের পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
পানির এই গবেষণা লিফটবোট রবার্ট নামের একটি জাহাজ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। জাহাজটি সাধারণত অফশোর পেট্রোলিয়াম সাইট ও বায়ুচালিত বিদ্যুৎ তৈরির টারবাইন বসানোর জন্য কাজ করে থাকে। বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে সুপেয় পানির সন্ধানে সমুদ্রতলের প্রায় ৪০০ মিটার পর্যন্ত ড্রিল করেছেন।