১১ হাজার ৪ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত আধুনিক এই সড়কটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে নির্বিঘ্ন যানচলাচলে বাধা নেই একটিও। এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা কিংবা ভাঙ্গা থেকে ঢাকা সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১ঘন্টা। ডানে বায়ে কেউ যেতে চাইলে রয়েছে একাধিক ওভারপাস আন্ডারপাস আর ইন্টারচেঞ্জ। আর বের হওয়ার পথ রয়েছে ৪টি।
পদ্মাসেতু উদ্বোধন হওয়ার অনেক আগে থেকেই এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছেন দেশের মানুষ। বলা হচ্ছে, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের অল্প সময়ের মাঝেই যে এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে তার টোল আদায় শুরু হবে। ছয় লেনের এই রাস্তার ২ লেন রয়েছে সার্ভিস রোড। এই পথে যারা যাবেন তাদের টোল দেয়া লাগবে না। তবে মাঝ যে রাস্তা রয়েছে অর্থাৎ নির্বিঘ্নে যাতায়াতের যে পথ সে পথে টোল খুব শিগগিরই চালু হবে। টোল প্লাজায় প্রায় প্রস্তুত রয়েছে।
যেখানে প্রতি কিলোমিটারের জন্য ট্রেইলারকে টোল দিতে হবে ২৫টাকা, হেভি ট্রাক ২০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ১০, বড় বাস ৯, মিনি বাস বা কোস্টার ৫ টাকা, মাইক্রোবাস ৪ টাকা, সেডান কার আড়াই ও মোটরসাইকেল ১ টাকা। তবে এই রেট স্বল্প সময়ের জন্য। এরই মধ্যে বর্ধিত হারের একটি প্রস্তাব দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
বলা হচ্ছে এই সড়কে চালু হবে দেশের প্রথম ইন্টেলিজেন্স ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম। যার মাধ্যমে সংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে অনেক কিছু।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা জোন) মো. সবুজ উদ্দিন খান বলেন, এখানে এক্সিডেন্টের রেকর্ড, হাই স্পিডের রেকর্ড, ওভার ওয়েটের রেকর্ড ইত্যাদি ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হয়ে এই এক্সপ্রেসওয়েতে।
এই পর্যায়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ে থাকলেও সামনে দক্ষিণ-পশ্চিমের অন্য জেলাকে তার সাথে সংযুক্ত করতে কাজ শুরু হবে শিগগিরই।