ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আগামী ১৮ জুন ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় থাকা মধ্যপ্রাচ্যের পরাশক্তি ইরানে কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। প্রায় ৬০০ প্রার্থীর মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সাতজনকে যোগ্য ঘোষণা করা হলেও, সবার নজর দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম রাইসির দিকে।
১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর, ইরানের বড় সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ক্ষমতা দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির হাতে। তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও খামেনির প্রভাব থাকে অনেক বেশি। এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ নেতার সমর্থন পাচ্ছেন তারই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম রাইসি।
কট্টর রক্ষণশীল পশ্চিমাবিরোধী এই নেতার জয় নিশ্চিত করতে, এরইমধ্যে বাতিল করা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনিজাদ কিংবা সাবেক স্পিকার আলী লারিজানির মতো শক্তিশালী নেতার প্রার্থিতা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছেন ইব্রাহিম রাইসি। বিচার ব্যবস্থার ওপর পিএইচডি ডিগ্রিধারী রাইসি এরইমধ্যে ঘোষণা করেছেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে তিনি।
ইব্রাহিম রাইসি বলেন, আমি একটি শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় প্রশাসন গড়তে চাই। যার মাধ্যমে দুর্নীতি কঠোর হাতে দমন করা হবে। আর এমন একটি শক্তিশালী ইরান গঠন করবো, যা শত্রুদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেবে।
এছাড়াও অন্যান্য শীর্ষ নেতার মতো ৬১ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসিও ইসরাইল ও পশ্চিমাদের কট্টর বিরোধী। যদিও ২০১৭ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, এবারের ভোটে শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকায় সহজেই জয় পেতে যাচ্ছেন আয়াতুল্লাহ খামেনির ঘনিষ্ট সহযোগী রাইসি।
এছাড়াও এবারের ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালালি, আইআরজিসির সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়ীসহ মোট সাত প্রার্থী।