আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বাড়বে। একই সঙ্গে বর্তমানের নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়ে যাবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ার সঙ্গে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে সরকারের ডলারের হিসাবে বা বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি আরও বাড়বে। চলতি হিসাবের ঘাটতির মানে হচ্ছে সরকারের ডলার আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হবে।
মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, অক্টোবর-২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থিত আইএমএফে পাশাপাশি সদর দপ্তর থেকে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে।গত অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আইএমএফ বলেছে, চলতি অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। সরকার চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকারের নির্ধারিত হারের চেয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতে দেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশ কম হচ্ছে।
আইএমএফ বলেছে, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে। ২০২৯-৩০ অর্থবছরে গিয়ে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
দেশের মূল্যস্ফীতির হার গত বছরের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠেছিল। এরপর থেকে এ হার কমছে। গত আগস্টে তা কমে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমেছিল। পণ্যমূল্য বাড়ার কারণে গত সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে উঠেছে। এর আগে গত জুনের তুলনায় জুলাইয়েও মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছিল। ফলে মূল্যস্ফীতির হার আগের কমার ধারা থেকে পরিবর্তিত হয়ে এখন উঠানামা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে সর্বোচ্চ জিডিপির ৪ শতাংশে উঠেছিল। এরপর থেকে এ ঘাটতি কমছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ ঘাটতি কমে জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়ায়।