পলিটিক্যাল ডেস্ক: আগামী ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে শেখ হাসিনার সরকার নতুন পাঁয়তারা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, তারা জোর করে ক্ষামতায় থাকতে চায়। তারা জানগণকে বঞ্চিত করে বিনা ভোটে ক্ষামতায় টিকে থাকতে চায়। ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিজেদের ভালো দেখানোর জন্য কৌশল নিয়েছে। কমিশনকে তো ডিসি-এসপিই মানে না। তাই আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলছি না। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। তাই এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই সরকারকে পরাজিত করে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই আন্দোলন ছাড়া আমাদের সামনে কোন বিকল্প নেই। সরকারকে আহ্বান জানাই, পদত্যাগ করুন নাহলে গণঅভ্যুত্থানে এ সরকারকে বিদায় জানানো হবে। দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে চাই। ফয়সালা হবে রাজপথে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না ১০টার বেশি আসন পাবে না। এখনও সময় আছে সেইফ এক্সিট নেন। পালাবার পথে খুঁজে পাবেন না।
এদিকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে গতরাতেই সমাবেশস্থলে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। এছাড়া আশপাশের জেলা থেকে আসা বেশ কিছু নেতাকর্মী অবস্থান নেন দলীয় কার্যালয়ের সামনে।
এদিকে খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কিছু জানালার কাঁচ। এছাড়াও বৈকালী এলাকায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেয়া হয়েছে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের অংশ হিসেবে খুলনায় বিএনপি এ বিভাগীয় সমাবেশ।