সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার নাম ‘আকবর দ্য গ্রেট’, কেউ কেউ আবার তাকে ডাকেন ‘আকবর দ্য চ্যাম্পিয়ন’ নামে। আকবর আলির অধিনায়কত্ব মানেই যে চ্যাম্পিয়ন। আরও একবার সেটি দেখল দেশের ক্রিকেট। এবার এনসিএল টি২০তে শিরোপা ধরে রাখল আকবরের দল রংপুর। রবিবার রাতে সিলেটে দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে ৮ উইকেটের জয়ের পথে মোহাম্মদ মিথুনের খুলনা বিভাগকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে তার দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের সাদামাটা স্কোর গড়ে খুলনা। জবাবে ১৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতে আকবর বাহিনী। বৃষ্টির বাগড়া, ভেন্যু পরিবর্তন, তারকা সংকটসহ নানামুখী ঝামেলার পর সিলেটে স্থানান্তরিত এবারের আসরেও সাফল্য ধরে রাখল রংপুর। এই সিলেটেই ২০২৪ সালে প্রথম আসরের ফাইনালে ঢাকা মেট্রোপলিসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আকবরের দল।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার, ৭ ওভারে তোলেন ৬০ রান। ২৪ বলে ২৭ রান করে আউট হন জাহিদ জাভেদ। বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখানো নাসির হোসেন ৩১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৩২ বলে ৫ চারে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন আবু হাসিম। ৩ চারে নাঈম ইসলাম অপরাজিত ১৯। একটি করে উইকেট নিয়েছেন পারভেজ জীবন ও আফিফ হোসেন। এর আগে টস জিতে বোলিং নেওয়া আকবরের বোলাররাই এবার রংপুরের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইমরানুজ্জামানকে (০) আউট করে রংপুরকে উইকেট উদ্যাপনের মুহূর্ত এনে দেন নাসুম আহমেদ। দ্বিতীয় উইকেটে ১৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। তবে ২ রানের ব্যবধানে দুজনের বিদায়ে চাপে পড়ে খুলনা। ওপেনার সৌম্যর ৮ রানের বিপরীতে রান আউট হন ১২ রান করা বিজয়। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন এক প্রান্ত আগলে রেখে রান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও তাকে সঙ্গ দিতে আসে দুই সতীর্থ আফিফ হোসেন (১৪) ও শেখ পারভেজ জীবনও (৮) ফেরেন দ্রুত। তাতে খুলনার দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬৯ রান। ততক্ষণে ওভারও শেষ ১২.৫। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে ১৩৬ রানের পথ দেখান মিঠুন। তবে ২ রানের ব্যবধানে তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন কোয়ালিফায়ার ম্যাচের নায়ক অভিষেক দাস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মিথুন। ইনিংসটি সাজান ৩ ছক্কার বিপরীতে ১ চারে।
রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। ১৫ রানে ২ উইকেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হাসেম, ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ এনামুল ও আলাউদ্দিন বাবু। বাংলাদেশকে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্মরণীয় শিরোপা জিতিয়ে অধিনায়ক হিসেবে আকবরের উত্থান। এরপর ২০২২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণে রংপুরের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার অধিনায়কত্বে ২০২৩ সালে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ জোন।