অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নির্মূল না করে পুনর্বাসন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, সরকারের দুর্বলতায় আওয়ামী দোসররা সাহস পেয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হচ্ছে। এই দেশে আবারও আওয়ামী লীগ ফিরলে দায়ী থাকবেন অধ্যাপক ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান এসব কথা বলেন। গত রোববার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বড়বাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেন, গত ২৯ আগস্ট গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলা হয়েছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারাকে অপদস্ত করা হয়েছে। সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে।
রাশেদ খান আরও বলেন, গতকাল (রোববার) রাতে গণ অধিকার পরিষদের সহসভাপতি ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানকে গুম করার চেষ্টা এবং হামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে পাহাড়ে অশান্তি চলছে। এগুলো নিছক কোনো ঘটনা নয়। বরং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নুরুল হকের ওপর হামলার পরে যদি অপরাধীরা গ্রেপ্তার হতো, তাহলে তারা ষড়যন্ত্র করার সাহস করত না।
বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে গত ১৬ বছর যাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের আরও বঞ্চিত করেছে অভিযোগ করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন সরকারের উপদেষ্টারা বলছে, সব বিএনপি-জামায়াত ভাগ করে নিয়েছে। তাহলে জনগণের ভাগ কোথায়? এভাবে দায় এড়ানো ঠিক নয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হাসান আল মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেভাবে সাদাপোশাকে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হতো, ঠিক একইভাবে শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানকে গাজীপুর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা–ও জানা যায়নি।
এ সময় গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান, আবদু জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।