আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রে (২০২৫-২৭) বাংলাদেশ মোট ৬টি সিরিজে ১২টি ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে তিনটি সিরিজ ঘরের মাঠে এবং বাকি তিনটি বিদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। টাইগারদের সব সিরিজই হবে দুই ম্যাচের।
আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর শুরু হবে। এই চক্রে দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কা ছাড়াও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, দেশের মাটিতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান।
প্রথম তিন চক্রে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) বাংলাদেশ ৭টি ম্যাচ খেলেছিল এবং কোনো জয়ের দেখা পায়নি। ৬টি হারের সঙ্গে ১টি ম্যাচ ড্র করে ৯ দলের মধ্যে নবম ও শেষ স্থানে ছিল টাইগাররা।
প্রথম আসরে জয়হীন থাকলেও, দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) বাংলাদেশ তাদের প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জয়ের স্বাদ পায়। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। ওই আসরে ১২ ম্যাচ খেলে ১টি জয়, ১টি ড্র এবং ১০টি হারে বাংলাদেশ, ফলে ৯ দলের মধ্যে আবারও টেবিলের তলানিতে ছিল।
তবে, গতকাল শেষ হওয়া তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশ তাদের পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটিয়েছে। ৯ দলের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করে তারা। এই চক্রে ১২ ম্যাচে ৪টি জয় ও ৮টি হার ছিল টাইগারদের। এর মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’টি এবং নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১টি করে জয় পায় বাংলাদেশ। এই ধারাবাহিকতা চতুর্থ চক্রে ধরে রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
চতুর্থ চক্রে বাংলাদেশের মতো অন্য আটটি দলও সমান ছয়টি করে সিরিজ খেলবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। এছাড়া ভারত ১৮টি, নিউজিল্যান্ড ১৬টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪টি করে, পাকিস্তান ১৩টি এবং শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশের মতো ১২টি ম্যাচ খেলবে। চতুর্থ চক্রে ফাইনালসহ মোট ৭১টি ম্যাচ এবং ২৭টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।
এই নতুন চক্রে বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে নিজেদের সুবিধা কাজে লাগিয়ে এবং বিদেশের মাটিতে কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভালো খেলে র্যাঙ্কিংয়ে আরও এগিয়ে যেতে কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।