স্পোর্টস ডেস্ক: ওমানকে ২৬ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ। এমনই এক জটিল সমীকরণে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে খেলতে নেমে ওমানকে শেষ পর্যন্ত হারিয়ে জয় পেল বাংলাদেশ।
এরআগে, বাংলাদেশ সব উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে। ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে নাঈম শেখ আর সাকিব আল হাসানের ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা। বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের সামনে। তবে বাংলাদেশী বোলারদের একের পর এক আঘাতে তা ধরে রাখতে পারেনি ওমান। সাইফউদ্দিন, সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদী হাসান বোলিংয়ে পুরোপুরি পাল্টে যায় ম্যাচ। ওমানের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন চলে আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। শেষ পর্যন্ত ২৬ রানে অসাধারণ এক জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকলো বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৬ রান করে ফেরেন লিটন দাস। এরপর তিনে নামা মেহেদি হাসান রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। যার প্রভাব পড়ে রান রেটে। পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে আসে মোটে দুইটি চার ও একটি ছয়।
ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গী ওপেনার নাঈম শেখ। দেখেশুনে খেলে এই জুটিতে আসে ৫৩ বলে ৮০ রান। দুজনই যখন ফিফটির সুবাস পাচ্ছিল, তখন অপ্রত্যাশিত এক রান আউটে কাটা পড়েন সাকিব। ৬ চারে ২৯ বলে ৪২ করেন টাইগার অলরাউন্ডার।
সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরেছেন সোহান-আফিফরা। এদের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩ ও ১ রান। তবে এক প্রান্ত ধরে রাখেন নাঈম। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেই তুলে নেন ফিফটি।
দুই বার জীবন পাওয়া এই ওপেনার ফিফটি পূর্ণ করেন ৪৩ বলে। ইনিংসের ১৭তম ওভারে আউট হবার আগে ৪ ছয় আর ৩ চারে ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। নাঈম ফেরার পর মুশফিককে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ।
তবে ব্যাট হারে বাজে সময় কাটাতে থাকা মুশফিক এদিনও ব্যর্থ। ৪ বলে ৬ করে ক্যাচ আউট হয়েছেন ফায়াজের বলে। এরপরের বলেই ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষদিকে তাসকিনকে নিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করলেও ১৭ রানে বোল্ড হন টাইগার অধিনায়ক।
স্কোরবোর্ড
বাংলাদেশ ১৫৩/১০ (২০ ওভার)
নাঈম ৬৪, সাকিব ৪২; ফায়াজ বাট ৩/৩০