হারারেতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন দিলশান মাদুশঙ্কা। শেষ ওভারে করেছেন হ্যাটট্রিক। বিষয়টা রেকর্ড নয়, তবু আইসিসি বলল তার রেকর্ড হয়ে গেছে! আর তাতেই হয়ে গেল বিশাল এক ভুল।
গতকাল হারারেতে শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার একজন ত্রাতার প্রয়োজন ছিল। শেষমেশ সেই নায়ক হয়ে এসেছিলেন দিলশান মাদুশঙ্কা। হেরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি থেকে তিনি দলকে টেনে তুললেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক দিয়ে। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েকে ৭ রানে হারাল শ্রীলঙ্কা।
জিম্বাবুয়ের জয় একেবারে হাতের মুঠোয় ছিল। সিকান্দার রাজা আর টনি মুনিয়োঙ্গার জুটি দলের খাতায় যোগ করে ১২৮ রান। আর তাতেই একটা সময় জয় দেখছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০ রান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মাদুশঙ্কা এসে সব পাল্টে দেন।
সে ওভারের প্রথম বলেই ফেরান সেট হয়ে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা সিকান্দার রাজাকে। দ্বিতীয় বলেই ব্র্যাড ইভান্সকে আউট করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। তৃতীয় বলে রিচার্ড এনগারাভাকেও সাজঘরে পাঠান। তাতেই হয়ে যায় অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিক। তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচটাকে শ্রীলঙ্কার দিকে নিয়ে আসেন এই তরুণ পেসার।
২৪ বছর বয়সী মাদুশঙ্কা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক নেওয়া মাত্র তৃতীয় শ্রীলঙ্কান বোলার। এর আগে চামিন্দা ভাস ২০০১ সালে আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২০১৭ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন। তার এই অসাধারণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে কম ব্যবধানের জয় এসেছে—মাত্র ৭ রানে।
তবে আইসিসি বলে বসেছে, এই হ্যাটট্রিক করে নাকি রেকর্ডই গড়ে বসেছেন মাদুশঙ্কা। মাত্র সপ্তম বোলার হিসেবে গড়ে বসেছেন একাধিক হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।
আইসিসির সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদুশঙ্কা এর আগেও একটা হ্যাটট্রিক করেছেন। ২০১৮ সালে সে হ্যাটট্রিকটা তিনি নাকি করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। অথচ মাদুশঙ্কার ক্যারিয়ার শুরুই হয়েছে ২০২৩ সালে।
২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এক মাদুশঙ্কা হ্যাটট্রিক করেছিলেন বটে। তবে তিনি দিলশান মাদুশঙ্কা নন, সেহান মাদুশঙ্কা। মূলত একই নামে গুলিয়ে ফেলাতেই এই ভুলের দেখা মিলেছে আইসিসির ওয়েবসাইটে।