২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। ২০২৪ সালের ২৫ মে ফের রেমাল নামে আরেক ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ২৪ মে’র দিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হবে এই ঝড়। ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের উপকূলে।
এই বিষয়ে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ আবহাওয়া অবজারভেশন টিম (বিডাব্লিউওটি) এর চেয়ারম্যান পারভেজ আহমেদ পলাশ গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ২০ থেকে ২২ মে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তীতে শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এটি সৃষ্টি হওয়ার আগেই এর শক্তিমত্তা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ও এর গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে যথেষ্ট অস্থিতিশীলতা থাকবে পূর্বাভাসে। হরহামেশাই যা পরিবর্তন হতে পারে। তাই একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে আমাদের অন্তত ২০ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে ঘূর্ণিঝড়টির মিয়ানমারের ওপর দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
রেমাল নামক এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ওমান। আরবিতে যার অর্থ বালি। এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে। তবে ‘রেমাল’ কতটা ভয়াবহ হবে সেই ঝড়, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।