স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের পাশাপাশি ডেস্কটপ কম্পিউটার ও ল্যাপটপেও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে গুগল। সম্প্রতি হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত ‘স্ন্যাপড্রাগন সামিট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোয়ালকমের সহায়তায় নতুন এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে গুগল। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন এ উদ্যোগ অ্যান্ড্রয়েডচালিত কম্পিউটার বাজারে আনার পথে বড় পদক্ষেপ।
সম্মেলনে গুগলের ডিভাইস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক অস্টারলোহ বলেন, ‘এত দিন স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের জন্য আলাদা আলাদা সিস্টেম তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে গুগল ও কোয়ালকম মিলে এমন একটি অভিন্ন প্রযুক্তিগত ভিত্তি তৈরি করছে, যা স্মার্টফোন ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্যও কার্যকর হবে।’ কোয়ালকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ানো আমন বলেন, ‘আমি এটি সরাসরি দেখেছি। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এটি মোবাইল ও কম্পিউটারের মধ্যে বহুদিনের প্রত্যাশিত সংযোগ ঘটাচ্ছে। আমি নিজেও এটি ব্যবহার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের পরিধি বৃদ্ধির পাশাপাশি গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিও কম্পিউটারে যুক্ত করার জন্য কাজ করছে। এ বিষয়ে রিক অস্টারলোহ বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্ণাঙ্গ এআই সক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছি। এর ফলে অ্যান্ড্রয়েড সব ধরনের কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যাবে।’
গত বছর প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি জানিয়েছিল, গুগল একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে ক্রোম ওএস ও অ্যান্ড্রয়েডকে একীভূত করা। চলতি বছরের শুরুতে গুগলের এক নির্বাহীও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্ন্যাপড্রাগন সামিটে আমন ও অস্টারলোহের আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে, সেই প্রকল্প এখনো চলমান। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, গুগল যেভাবে বিষয়টি খোলাখুলিভাবে আলোচনা করছে, তাতে খুব শিগগির স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ কম্পিউটারে একই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে।