ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদুত সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই সচিব পদমর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছিলেন। বর্তমানে তিনি চেযারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়- সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী থেকে প্রথম ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মরক্কো (মালির সমবর্তী), শ্রীলঙ্কা (মালদ্বীপের সমবর্তী), বেলজিয়াম (সুইজারল্যান্ডের সমবর্তী) এবং তুরস্কে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামে (লাও পিডিআর-এর সমবর্তী) এবং ২০১৫ সাল হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত মেক্সিকোতে (কোস্টারিকা, ইকুয়েডর, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা, পানামা এবং পেরু-সমবর্তী) রাষ্ট্রদূত হিসাবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন, কনস্যুলার রাজনৈতিক অনুবিভাগে এবং প্রটোকলে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন শাখায় সহকারী সচিব, পরিচালক ও মহাপরিচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
দেশে-বিদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বদ্যিালয়ে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বৈদেশিক পরিষেবা প্রশিক্ষণ(১৯৮৮-৮৯), মৌলিক সরকারী প্রশিক্ষণ বিপিএটিসি(১৯৮৯-৯০), প্যারিসে ফরাসি ভাষা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ (১৯৯০-৯২), এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ (এপিসিএসএস- ২০০১) ইত্যাদি প্রশিক্ষণ উল্লেখ যোগ্য।
মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করে ২০২১ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৮৫ ব্যাচের বিসিএস (এফএ) সদস্য ছিলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কমলছড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন বলে জানা যায়।
সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর উন্নয়ন কর্মকান্ডে পেশাগত অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।
পারিবারিক জীবনে সুপ্রদীপ চাকমা দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী মিসেস নন্দিতা চাকমা বিভিন্ন পেশাজীবি ও সামাজিক সংগঠনে যুক্ত থেকে জনকল্যাণমুলক কাজ করে আসছেন বলে জানা যায়।
