বিজনেস ডেস্ক: এক সপ্তাহ পর মুরগি-ডিমের বাজারে ছুটতে থাকা দামের পাগলা ঘোড়ার দম কিছুটা থামলো। তাতে মূল ভূমিকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমে ২০ টাকা আর প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ে ৫০ টাকা।
শুরুতে এ নিয়ে মাথা ব্যথা ছিলো না নিয়ন্ত্রক সংস্থার। গণমাধ্যমে লাগাতার সংবাদ প্রচারের পর গত বৃহস্পতিবার অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাতে কিছুটা হলেও মিলেছে সুফল।
হঠাৎ দামের এই ওঠা-নামায় মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা বাগিয়ে নিলেও লোকসানে খামারিরা। ভোক্তা পর্যায়ে ডিমপ্রতি ৫ টাকা বাড়ানো হলেও উৎপাদকরা পান মাত্র ২৫ পয়সা। তারা জানান, আগে লেয়ার মুরগির এক বস্তা খাবারের দাম ছিল ১৭০০ থেকে ১৭৫০ টাকা। এখন সেই বস্তার দাম হয়েছে ২৮০০ টাকা। ফলে এই দামে ডিম বিক্রি করে লাভ তো হয়ই না বরং লোকসান গুণতে হচ্ছে আমাদের।
খাত সংশ্লিষ্টদের রক্ষায় উপখাতগুলোতে বাজার তদারকির দাবি ব্যবসায়ীদের। শ্রীপুর পোল্ট্রি ফিড ও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জামাল ফরাজী বলেন, আমরা যারা কাজ করি তাদের পারিশ্রমিকটা যদি অন্তত সরকার দিতে না পারে তবে এই খাত শিগগিরই ধ্বংস হয়ে যাবে।
গাজীপুরে খামার থেকেই দৈনিক অন্তত ২ কোটি টাকার ডিম ও মুরগি বিক্রি হয়।