কাতারের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধ বিরতি শুরুর কথা থাকলেও প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিলম্বের পরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। ৪ দিনের এ যুদ্ধ বিরতিতে ইসরায়েলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের বিনিময়ে গাজায় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধের পর শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা থেকে এ যুদ্ধ বিরতি শুরু হচ্ছে। ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর, ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় গাজায় ১৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
প্রসঙ্গত যুদ্ধ শুরুর আগ মুহূর্তে, একটি শরণার্থী শিবির ও জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় সরবরাহের জন্য ১ হাজার ৩০০ টন খাদ্যসহ ১০০টির বেশি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপর এসব ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মধ্যপ্রাচ্যের মুখপাত্র আবির ইতেফা বলেছেন, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ বন্ধের একটি এগিয়ে যাওয়ার ধাপ। তবে শুধুমাত্র সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই গাজায় মানবিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মানুষের প্রতিদিন খাবারের প্রয়োজন, রুটি দরকার। চার দিনের যুদ্ধবিরতি এবং চার দিনের সাহায্য এই চাহিদার সাগরে কিছুই নয়
উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরুর পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য, জ্বালানি ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। ফলে গাজায় অমানবিক এক কৃত্রিম সংকট শুরু হয়।
এক দিকে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু রকেট হামলা আরেকদিকে খাদ্য সংকটের পর অবশেষে সাময়িক এ যুদ্ধ বিরতির পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবে গাজার বেসামরিক ফিলস্তিনিরা।