অপব্যবহার হলেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘এটা প্রয়োজনীয় আইন। এ আইনের অপব্যবহার হয়, এটাও স্বাভাবিক। ১৮৬০ সালে পেনাল কোড হয়েছিল। ওখানে ৩৭৯ ধারা আছে। যেটাকে বলা হয় চুরির ধারা। চুরি করলে তিন বছরের জেল। ১৮৬০ সালে জেল দেওয়া হয়েছিল। আমরা কী চুরি বন্ধ করতে পেরেছি? আগে গ্রিল ছাড়া বাসায় থাকতাম, এখন তিনটা গ্রিল দিতে হয়। তাই বলে কী অপরাধ বন্ধ করার জন্য সরকার সচেষ্ট হবে না, হবে।’
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার শেষদিন ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
ডিএসএ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার ও জনগণ চাইলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু অনেকেই এ আইনকে অপরাধের উদ্দেশে ব্যবহার করছেন, এটাও স্বাভাবিক। তখন অধিকার সুরক্ষার জন্য অপব্যবহার বন্ধ করতে আইন প্রণয়নের প্রয়োজন আছে। আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট যেটা করেছি, সেটা প্রথমটা ছিল লিগ্যালাইজিং সিগনেচার আইসিটি অ্যাক্ট। সেটা ছিল আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, এরপর আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গেছি। কী কারণের ডিজিটাল আইন, কেন করা হয়েছিল আমরা সেই কথাগুলো বলি না। আমরা শুধু বলি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বলা হয়, এটা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য করা হয়েছে।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বলেন। আপনারা অডিয়েন্স আজ সবার কথা শুনে আপনাদের কী মনে হয়েছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রয়োজনীয় নয় কি?
তিনি বলেন, আমরা দেখছি এর অপব্যবহার হয়েছে। অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের যে ফোর্স যাদের এটা দেখার দায়িত্ব, তারা কিন্তু প্রশিক্ষিত হচ্ছে। আমার মনে হয়ে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।
ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রণয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে যখন আইন করা হতো কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হতো না। এখন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হবে।
সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিডি ই-গভ সিআইআরটির প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ।
বিটিআরসির কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।