১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশ স্বাধীন হয়, কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পর-ও জনপদের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত সংজ্ঞা উপলদ্ধি করতে পারেনি। ২০০৯ সালে দেশে আওয়ামীলীগ ক্ষমতার মসনদে আরোহনের পর নিজ কুরসি সুরক্ষিত রাখতে গুম-খুনের মহা উৎসবে মেতে উঠেছিলো স্বৈরাচার সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার মানুষের ছিল না। বিরোধী মতের উপর চলত নির্যাতনের স্টিমরোলার। জনপদের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। চারিদিকে চলছিলো দুর্নীতির বর্ষাকাল। শিক্ষা ব্যবস্থায় নেমে এসেছিল ভয়ংকর অধঃপতন। নৈতিকতা-ধর্মীয় মূল্যবোধের বদলে শিক্ষা ব্যবস্থার যোগ করা হয়েছিল পারিবারিক কল্পকাহিনী। হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হতো ৯৫ ভাগ মুসলিম দেশের শিক্ষাঙ্গন।
অবশেষে পাঁচই আগস্ট ছাত্র-নাগরিকের গণঅভ্যুত্থানের ফলে পদত্যাগ করে ভারতের পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা লাভ করে। দীর্ঘ ষোল বছরের স্বৈরাশাসন মিশে যায় মাটিতে। আঁধার কেটে বাংলার আকাশে উদিত হয় ঝলমলে সূর্য। মুক্তির সূর্য।
এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং দেশের উন্নয়ন তরান্বিত করতে অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে নানামুখী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে করে দেশের আপামর জনসাধারণ প্রকৃত স্বাধীনতা ফিরে পায়। দুর্নীতি-দারিদ্র্য ও নিরক্ষরমুক্ত-নিরাপদ বাংলাদেশ খুঁজে পায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো :
দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ :
দূর্নীতির ইংরেজী প্রতিশব্দ (corruption) পরিভাষায়— অন্যায়ভাবে কোন কিছু লাভ করা। একটি দেশের উন্নতির প্রধান জ্বালানী দূর্নীতিমুক্ত পরিবেশ। একটি দেশকে দ্রুতগতির ট্রেনের মত এগিয়ে নেওয়ার জন্য দরকার মানচিত্রের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে দুর্নীতিকে উচ্ছেদ করা।
ভাইরাস যেমন তিলে তিলে দেহকে শেষ করে দেয় অনুরুপ দুর্নীতি দেশকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়
দুর্নীতির মধ্যে —অর্থপাচার-ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডারবাজি,অযোগ্যকে টাকার মাধ্যমে চাকরি, রাস্তায় ট্রাফিকের চাঁদা তোলা, এলাকায় ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার ধ্বজ্জা ধরে চাঁদাবাজি। এছাড়া হাজারো রকম দূর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে।
মানুষের শরীরে পোকা উঠলে হন্তদন্ত হয়ে এক ঝটকায় যেমন সেটাকে ফেলে দেয়, অনুরুপ বাংলার মানচিত্রে বসে যেই দূর্নীতি করবে তাকে এক ঝটকায় সেই অবস্থান থেকে ফেলে দিতে হবে। যাতে করে চাকরি হারানোর ভয়ে অশুভলোকজন দুর্নীতি করতে সাহস না করে।
বাংলাদেশের শরীর থেকে দুর্নীতি নামক ভাইরাস মুক্ত করতে পারলে মিলবে বাংলাদেশের মুক্তি। এই অপরেশান চালু করতে পারলে সোনালী আশে সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে আর ঘুরে ঘুরে উন্নত দেশগুলোর কাছে হাত পাততে হবে না। দেশের টাকায় উন্নত হবে দেশ।
সা’দ বিন মাতিন বলেনঃ—
গাড়ির চাকার নিচে ইট রাখলে গাড়ি চলতে যেমন চলতে বাধাগ্রস্ত হয় অনুরুপ একটি দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাধাগ্রস্ত হয় যখন পদে পদে দুর্নীতি চলতে থাকে।
দেশের প্রতিটি মানুষ যদি দায়িত্বশীলতার সাথে এই ক্যাম্পেইন জারি রাখতে পারে —দুর্নীতি করবো না, মানচিত্রের ক্ষতি করব না। পাশা পাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে তাহলে শীঘ্রই নতুন সূর্যোদয় হবে বাংলার আকাশে। বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশগুলোর পাশে মেরুদন্ড সোজা করে টানটান হয়ে দাঁড়াতে পারবে গৌরবের সাথে। মডেল হবে অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোর সামনে।
উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা :
উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষের মন মগজ উন্নত ও সমৃদ্ধ করে তোলে। আমরা প্রায়শ বলে থাকি, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কথাটা সত্য। আজকে যেটা কলি আগামী দিন সেটা ফুল হবে অর্থাৎ আজকে যিনি শিশু আগামী দিনে তিনি এমপি কিংবা মন্ত্রী হবেন। এজন্য আজকের শিশুকে যদি উন্নত ও সমৃদ্ধ শিক্ষায় গড়ে তোলা যায় তাহলে আগামীর বাংলাদেশেও সেই প্রতিফলন ঘটবে। তাদের মাধ্যমে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার পাবে দেশের জনগণ।
শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা বেশি বেশি পাঠ্য বইতে যোগ করতে হবে।একটা শিশু যখন ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সততা নিয়ে বড় হয় তখন অন্যায়, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির প্রতি তার ঘৃণা সৃষ্টি হয়। তার দ্বারা কখনো অন্যের অধিকার হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে না । দারিদ্র পীড়িত বাংলাদেশে শিক্ষা অধিকাংশ মানুষের কাছে অনেকটা বিলাসিতা স্বরূপ। শিক্ষার দিকে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন। তাদেরকে বই-খাতা-ব্যাগ ফ্রি প্রদান করার মাধ্যমে শিক্ষার দিকে আকর্ষিত করতে পারলে, নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশের দেখা মিলবে অদূর ভবিষ্যতে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো লেজুরবৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন গুলো দলীয় স্বার্থে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে আসছিলো দীর্ঘ দিন যাবৎ। যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা পরিবেশ বিনষ্ট হত। ইচ্ছার বিরুদ্ধে থেকেও সংগঠন গুলোর মিছিল মিটিং এ অংশ গ্রহণ করতে হত সাধারণ শিক্ষার্থীদের, যা শিক্ষার জন্য বড় এক বাধা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো সৃজনশীলতা চর্চার বাতিঘর। নিরাপদ-ভয়হীন পরিবেশ শিক্ষার্থীদের সুন্দরভাবে শিক্ষা অর্জন করবে। কিন্তু দেশে ক্ষমতা বদল হওয়ার সাথে সাথে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন হল ও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাগ্যে নেমে আসে চরম অস্বস্তি। বাধ্য হয়ে মিছিল মিটিংয়ে যেতে হয়। যেতে অস্বিকৃতি জানালে সংগঠনের বড় ভাইদের তোপের মুখে পড়তে হয়। কখনো কখনো হল ছাড়া হতে হয়। অতএব পড়াশোনার পরিবেশ নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে লেজুরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাস থেকে বিদায় করতে হবে।
স্বাধীন বিচারব্যবস্থা :
নিরপেক্ষ স্বাধীন বিচারব্যবস্থা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম সুইচ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব মুক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশে দুর্নীতি সহ সকল অপকর্মের জন্য ৮ নম্বর সিগন্যাল বজায় রাখবে সর্বদা। বিচারকদের ভয় কিংবা লোভের বশবর্তী না হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই অন্যায় লুটপাট-দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার বাংলাদেশের বুক থেকে কমে যাবে।
যে দেশে বিচার ব্যবস্থা ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপ মুক্ত সে দেশে স্বৈরশাসক জন্ম নেয় না।ক্ষমতাসীন কোন নেতা অন্যায় করলে তাকেও শাস্তি মাথা পেতে নিতে হবে। বিচারালয় যেন ক্ষমতাসীনদের প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত না হয় সেই ফিল্ড তৈরী করতে হবে, পাশাপাশি তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার পর্যন্ত স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
চিকিৎসায় আধুনিকায়ন :
মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের একটি চিকিৎসা। সুস্থতা ও অসুস্থতা নিয়ে জীবন নদী প্রবাহমান। মানুষ অসুস্থ হলে হাতের নাগালেই যেন উন্নত চিকিৎসা পায় সেজন্য প্রতিটি জেলার হাসপাতালগুলো উন্নত ও সব ধরনের সুবিধা সুলভ মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য নিজ জেলা থেকে ঢাকায় কিংবা বিদেশে ছুটে যেতে না হয় সে লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালগুলো মানুষের চাহিদা পূরণ ও আস্থার জায়গা হয় সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতাল থেকে ফেরৎ অতঃপর ঢাকায় নেয়ার পথে এম্বুলেন্সে মৃত্যু। এমন যেন আর না হয় সে লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় দক্ষ চিকিৎসক নিয়োগ ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনৈতিক নেতাগণ অসুস্থ হলে সিঙ্গাপুর কিংবা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকাতে চিকিৎসার জন্য ছুটে যান অথচ দেশের চিকিৎসার প্রতি তাদের ভরসা থাকে না। আগামীর বাংলাদেশে যাতে ফকির কিংবা ধনী নিজ দেশে উন্নত চিকিৎসা পেতে পারে সেরকম হাসপাতাল এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সাধ্যের মধ্যে :
দারিদ্র পিড়িত দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাধ্যের মধ্যে আনতে হবে।এদেশের মানুষ বাজারে গেলে যাতে দাম শুনে হতাশ হয়ে ফিরে না আসে, খুশিমনে ব্যাগ ভরে বাজার করে আনতে পারে সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
অসৎ ব্যবসায়ী-মজুদদার এবং এই সেক্টরে হওয়া যাবতীয় দুর্নীতিকে রুখে দিতে পারলে এ দেশে সুবহে সাদিকের দেখা পাওয়া অসম্ভব নয়।
ইন্টারনেটের দাম ও কলরেট অতিরিক্ত হওয়ার ফলে জনমনে অস্বস্তি বইছে দীর্ঘদিন যাবৎ। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইন্টারনেট ও কলরেট কমানোর পাশাপাশি মেয়াদ দীর্ঘ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা :
বাক স্বাধীনতা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধান অনুযায়ী মুক্ত বাক চর্চার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর মতো স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ যেন এদেশের বাস্তবায়িত হয় সেই প্রত্যাশা জনমনে দীর্ঘদিনের। বিগত দিনে গুম-খুনের অধ্যায় রচিত হয়েছে সামান্য একটা স্ট্যাটাস কিংবা নিজের মত প্রকাশের কারণে। সেই পরিবেশ যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।
স্যাটেলাইট মিডিয়া এবং পত্রিকা সহ যেগুলো রাষ্ট্রের দর্পণ হিসেবে কাজ করছে সেগুলো যেন ক্ষমতাসীনদের প্রভাব মুক্ত থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করতে পারে সেই ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
সামরিক বাহিনী ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা :
ক্ষমতার পালাবদলের ফলে সশস্ত্র বাহিনীতে পরিবর্তন হয়। দলীয় মতাদর্শের মানুষদের পদোন্নতি সহ নানামুখী সুবিধা দেয়া হয়। ফলে সশস্ত্র বাহিনীর বড় একটি অংশ ক্ষমতাসীনদের কথা বলতে শুরু করে।ক্ষমতাসীনদের অন্যায় তখন বড় দোষ হিসেবে পরিলক্ষিত হয় না। অথচ তাদের হওয়া উচিত কোন দলের মতাদর্শ মুক্ত হয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ায় যারাই অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া। অন্যায় আদেশ প্রত্যাখ্যান করা। সে বিষয়ে খেয়াল রেখে সশস্ত্র বাহিনী সাজাতে হবে।
প্রশাসনের থাকা ব্যক্তিগণ নিরপেক্ষ-সচ্ছ থাকবে। তারা ভবিষ্যতে অন্যায় ভাবে কারো দ্বারা ব্যবহৃত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। নিরপেক্ষ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ করে জানান দিতে হবে এই দেশ উশৃঙ্খলভাবে চলতে পারে না। সিংহের ন্যায় অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে দেশে দুর্নীতির অমানিশা কেটে চকচকে সূর্যের দ্যুতি দেখা সম্ভব। নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে নিরপেক্ষভাবে। তাদের মাধ্যমে জাতি নিরাপদ ভাবে বসবাস করবে। লোভ কিংবা ভয়ের বশবর্তী না হয়ে নিরপেক্ষভাবে অপরাধী শনাক্ত করতে পারলে অপরাধ কমে যাবে এ দেশ থেকে। শান্তি শৃঙ্খলার সুবহে সাদিক হবে বাংলার আকাশে।
নতুন বাংলাদেশের আকাশ বাতাস থেকে মুছে যাক অমানিশার কালো মেঘ। ন্যায়-ইনসাফের পবিত্র আলোকরশ্মির প্রভাবে আলোকিত হোক বাংলার মানচিত্রের প্রতিটি অঙ্গ। শান্তি সমৃদ্ধির প্রস্রবনে সজীব হোক এ তল্লাট। অন্যায় অত্যাচার নিশ্চিহ্ন হোক লাল-সবুজের মানচিত্র থেকে। শান্তি শৃঙ্খলা নেমে আসুক শ্রাবণী বর্ষনের মত সে বর্ষনে মুছে যাক অশুভের কালো ছাপ।
————
নাম: মাহফুজুর রহমান সা’দ
শিক্ষার্থী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ই-মেইল: mahfuzurrahmansaad@gmail.com
কল : 01757088279