ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন ইমরান খান। দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে বিদায় ঠেকাতে ব্যর্থ হলেন সাবেক ক্রিকেট লিজেন্ড ইমরান খান। রোববার (১০ এপ্রিল)
অ্যাসেম্বলিতে ৩৪২টি ভোটের মধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোট পড়েছে ১৭৪ টি। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট বিপক্ষে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে হলো ইমরান খানকে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। তবে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি জানিয়ে দেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাব আসলে ‘বিদেশি চক্রান্ত’। ডেপুটি স্পিকারের এই পদক্ষেপের পরপর ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন।
এদিকে ডেপুটি স্পিকারের দেয়া ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। টানা চার দিন চরম নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় পাকিস্তান পার্লামেন্টের অধিবেশন বসলেও ৩০ মিনিট পর তা দেড় ঘণ্টার জন্য মুলতবি করা হয়। কিন্তু গড়িমসি করতে করতে যোহরের নামাজের পর শুরু হয় অধিবেশন। তবে অধিবেশন শুরুর পরও হয়নি অনাস্থা ভোট। পরে জানানো হয়, ইফতারের বিরতির পর রাত ৮টার দিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
ইমরান খানের অনুগত হিসেবে পরিচিত স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে রাতেই পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে অধিবেশনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর এমপি আয়াজ সাদিকের কাছে ন্যাস্ত করেন আসাদ কায়সার। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ০২ মিনিটে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর অধিবেশন শুরু হয়।