কুরবানির হাটগুলোতে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। হাটগুলোতে র্যাবের মোবাইল টিম কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাটগুলোত অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। অতিরিক্ত হাসিল গ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাবতলী কুরবানির পশুর হাটে র্যাব কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কমান্ডার মঈন বলেন, আমরা কোরবানির হাটকেন্দ্রিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। স্বনামধন্য যে হাটগুলো রয়েছে সেখানে হাট পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছি।
তিনি বলেন, কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু বিক্রির বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, ভেটেরিনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র্যাব একটি টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে
কমান্ডার মঈন বলেন, হাটে আমরা জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন র্যাব কন্ট্রোল রুমে রেখেছি। আমরা কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে ৫০ এর বেশি কারবারিকে আটক করেছি, যারা জাল টাকা কারবারে জড়িত। ৫০ লক্ষাধিক টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়েছে।
এ সময় র্যাবের এই কর্মকর্তা হাটে পশু ব্যবসায়ীদের নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান করেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে অনেকে কুরবানির পশু কেনাবেচা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এই অনলাইনকে পশু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য র্যাবের সাইবার টিম কাজ করছে। বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা কিছু অনলাইন পশু কেনাবেচার পেজ শনাক্ত করেছি। যারা কুরবানির পশু বেচাকেনা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করেননি। ঈদের এখনো দুই দিন বাকি আছে। আমরা মনিটরিং করছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।