সারাদেশ ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: অতিরিক্ত বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী, কয়েক লাখ মানুষ। অস্বাভাবিক পানি বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাবিত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্গত অনেক অঞ্চলের মানুষকে এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬৪ এবং দুধকুমার নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অঞ্চলেই পানিবন্দী প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ত্রান মজুত রয়েছে ।
তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুর ও লালমনিরহাটে পানি বন্দী ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের সবক’টি গেট। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা যাদুকাটার পানি বিপদ সীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী এখানকার ১০ হাজার মানুষ। এদিকে সিলেটে উজানের পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটেও বন্যা দেখা দিয়েছে। সূত্র: এটিএন বাংলা ও সময় টিভি