আইন ও আদালত ডেস্ক, আজনিউজ২৪: অঢেল সম্পদের মালিক স্বাস্থ্যের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবজাল ও তার স্ত্রীর অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় বিলাসবহুল ২টি বাড়ির খবর পুরনো হলেও, দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এবার পাওয়া গেছে দেশ দুটিতে আবজালের ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। তাদের নামে অবৈধ সম্পদের তদন্তে বেরিয়ে আসছে যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ। রয়েছে আরও ৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এদিকে নকল এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ককাণ্ডে অভিযুক্ত জে এম আইয়ের কর্ণধার আবদুর রাজ্জাককে ৫ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে দুদকে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
“স্বাস্থ্যের চতুর্থ শ্রেণীর কোটিপতি কর্মচারী”- বলতেই এখন আবজাল হোসেনের নাম। তার স্ত্রী একই অধিদপ্তরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার স্টেনোগ্রাফার রুবিনা খানমেরও ঢাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। আফজাল গত এক বছরে সপরিবারে বিদেশ সফর করেছেন ২৮ বারের বেশি।
আবজাল দম্পতির নামে রাজধানীর উত্তরায় ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডে তিনটি পাঁচতলা বাড়ি একটি প্লট। ১৬ নম্বর রোডে রয়েছে পাঁচতলা বাড়ি। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ও ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের অঢেল সম্পদ। টাকার অঙ্কে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ ও অর্থপাচার। যার মধ্যে, আবজালের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকা অর্থপাচার, পাশাপাশি ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ২৬ আগস্ট আবজাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুই মামলায় ২০ দিন রিমান্ড চাইলে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জিজ্ঞাসাবাদের পর দুদক সূত্রে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় স্বাস্থ্যের কেরানি আবজালের বিলাসবহুল ২টি বাড়ি ছাড়াও ১৮টি ব্যাংক হিসাব পেয়েছে দুদক। তার তত্ত্বাবধানে চলে ৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও।
আবজাল দম্পতির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত শেষে গত বছরের ২৭ জুন আলাদা দুটি মামলা করে দুদক। সূত্র : সময় টিভি